জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ড্যানি ফর্টিনের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তকারীরা কীভাবে দেখভাল করেছেন তার তদন্ত শুরু করছে মিলিটারি পুলিশ কপ্লেইন্ট কমিশন। কানাডায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কর্মসূচির কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন ফর্টিন।
কুইবেকের একটি আদালত গত ডিসেম্বরে যৌন নির্যাতনের মামলা থেকে মেজর জেনারেল ড্যানি ফর্টিনকে অব্যাহতি দেয়। এর আগে মিলিটারি পুলিশ অভিযোগের তদন্ত করে প্রাদেশিক প্রসিকিউটরদের কাছে হস্তান্তর করে।
ফর্টিনের দাবি, তিনি পক্ষপাতদুষ্ট তদন্তের শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও আনা হয়েছে অপর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে।
বিষয়টি মিলিটারি পুলিশ কীভাবে হ্যান্ডল করেছে তা এখন খতিয়ে দেখছে মিলিটারি পুলিশ কমপ্লেইন্টস কমিশন। তারা বলছে, জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের ব্যাপারে ফর্টিনের দাবি বিষয়টিকে জনস্বার্থ সম্পর্কিত করে তুলেছে।
ফর্টিনের কাছে লেখা এক চিঠিতে কমিশন বলেছে, জানুয়ারির শেষ দিকে তারা মিলিটারি পুলিশের তদন্তের পূর্ণাঙ্গ ফাইল চায়। কিন্তু দুই মাস পর এর উত্তর আসে এবং কয়েক পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপ তাদেরকে সরবরাহ করা হয়। সেখানে তদন্তের সারাংশ রয়েছে কেবল।
আইনজীবীর মাধ্যমে দেওয়া লিখিত জবাবে ফর্টিন বলেন, সিদ্ধান্তটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং কমিশনের বিষয়টি পর্যালোচনার সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন।
২০২১ সালের মে মাসে ফেডারেল সরকারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন ফর্টিন। এরপর অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কুইবেকের একটি বেসামরিক আদালত অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়। আদালত রায়ে বলে, অভিযোগটি যৌন হয়রানির হতে পারে। কিন্তু ফর্টিনই যে নিপীড়নকারী ক্রাউন তা প্রমাণ করতে পারেনি। পরবর্তীতে কানাডিয়ান সশস্ত্র বাহিনীও তাকে অসদাচরণের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার সরকারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে এই সিদ্ধান্ত নেন বলে অভিযোগ করেন ফর্টিন। কারণ, সামরিক বাহিনীতে যৌন অসদাচরণের সমস্যা সমাধানে লিবারেল সরকার যথেষ্ট কাজ করছে না বলে সে সময় অভিযোগ ওঠে। একই পদমর্যাদায় তাকে সেনাবাহিনীতে পুনর্বহাল করারও দাবি জানান ফর্টিন।
কমিশন বলেছে, এখনো তারা মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নথির জন্য অপেক্ষা করছে। কানাডিয়ান সশস্ত্র বাহিনী এ ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তারা বলেছে, কমিশনের তদন্ত শেষ হওয়ার পরই কেবল এ ব্যাপারে তারা মন্তব্য করবে।