শুক্রবার - এপ্রিল ২৬ - ২০২৪

আলাদা হচ্ছে পিল রিজিয়ন

মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্স ও আবাসনমন্ত্রী স্টিফেন ক্লার্ক বৃহস্পতিবার বিকালে হ্যাজেল ম্যাক্যালিয়ন শীর্ষক আইনটি কুইনস পার্কে উত্থাপন করেন

পিল রিজিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদে যাচ্ছে ফোর্ড সরকার। এর ফলে ২০২৫ সালের মধ্যে মিসিসোগা, ব্র্যাম্পটন ও ক্যালেডনের স্বতন্ত্র নগরী হওয়ার পথ তৈরি হবে।

মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্স ও আবাসনমন্ত্রী স্টিফেন ক্লার্ক বৃহস্পতিবার বিকালে হ্যাজেল ম্যাক্যালিয়ন শীর্ষক আইনটি কুইন’স পার্কে উত্থাপন করেন। স্বতন্ত্র নগরীর জন্য লড়াইটা মিসিসোগার প্রায়াত এই মেয়রই শুরু করেন। প্রক্রিয়াটি যে স্বচ্ছ এবং সুষম সেটা নিশ্চিত করতে বিলটি সরকারকে একটি ট্রানজিশন বোর্ড গঠনের ক্ষমতা দেবে।

- Advertisement -

চলতি বছরেরই কোনো এক সময় বোর্ড গঠিত হবে এবং আবাসনমন্ত্রী বোর্ডের পাঁচ সদস্যকে নিয়োগ দেবেন। এইসব সদস্যের শ্রম, সুশাসন ও আর্থিক বিষয়ে ভালো বোঝাপড়া থাকবে এবং এই গ্রীষ্মে বা ২০২৪ সালের হেমন্তে তারা সুপারিশ পেশ করবেন।

মন্ত্রী বলেন, সাফল্যের জন্যই্ জন্যই ট্রানজিশন বোর্ডের প্রতিষ্ঠা সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আইনটি পাস হলে খুব দ্রুতই বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হবে। এটা নিয়ে অনেক বেশি বিলম্ব আমি চাই না। আমি চাই বিতর্ক চলুক। এই তিনটি কমিউনিটিকে আমি অন্তত এই নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, রূপান্তর পর্যায় চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিবর্তনগুলোর ওপর সক্রিয় ও পূর্ণাঙ্গ আলোচনায় আছি আমরা।

বিশ্লেষণের বেশ কিছু জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রম সম্পর্ক, আঞ্চলিক সেবা মুক্তকরণ, সম্পদ কর বন্দোবস্ত এবং আর্থিক টেকসই। বোর্ড তিন মিউনিসিপালিটির আর্থিক সিদ্ধান্তের বিষয়গুলোও দেখভাল করবে। যদিও নগরীর সিদ্ধান্ত গ্রহণে হস্তক্ষেপের ক্ষমতা বোর্ড কতটা পাবে তা পরিষ্কার নয়।

মিউনিসিপালিটিগুলো যদি আগামী দুই বছরে ট্রানজিশন বোর্ডের বিপরীত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে নতুন আইনের আওতায় মন্ত্রী তা পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা পাবেন। তবে ব্র্যাম্পটনের বিবাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হলো অর্থায়ন। ব্র্যাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন বৃহস্পতিবার বিকালে বলেন, অবকাঠামো নির্মাণ বাবদ তারা মিসিসোগার কাছে অন্তত ১০০ কোটি ডলার পাবে।

পিল রিজিয়নের এই তিনটি মিউনিসিপালিটি এই অঞ্চলের কর রাজস্বে বড় ধরনের অবদান রেখে থাকে। ব্র্যাম্পটন এই অঞ্চলের কর রাজস্বের প্রায় ৪০ শতাংশ জোগান দেয়। পক্ষান্তরে মিসিসোগা জোগান দেয় ৪৫ শতাংশ। এই অর্থ পুলিশ, পানি পরিশোধন, সড়ক, বর্জ্য সংগ্রহ ও আবাসন সহায়তায় ব্যয় করা হয়ে থাকে। তিনটি নগরী স্বতন্ত্র হলে এসব সেবা প্রদানের দায়িত্ব পড়বে মিউনিসিপালিটিগুলোর ওপর। তবে রূপান্তরের সময়কালে স্থানীয় সেবাগুলো একইরকম থাকবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।

মিসিসোগার মেয়র বনি ক্রম্বি অনেকদিন ধরেই পিল রিজিয়ন থেকে আলাদা হতে চাইছেন। তার বক্তব্য হচ্ছে, মিসিসোগা অন্যদের তুলনায় বেশি বড় হয়েছে এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অতি জরুরি অর্থ তারা সঞ্চয় করতে পারবে।

- Advertisement -

Read More

Recent