বিশে^র অন্যতম বৃহৎ বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা স্টেলান্টিসের অন্টারিওর উইন্ডসরে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যাটারি প্রস্তুতকারক প্ল্যান্ট নির্মাণ নিয়ে বিলিয়ন ডলারের চুক্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। উইন্ডসরের মেয়র এই অচলাবস্থার জন্য ফেডারেল সরকারকে দায়ী করেছেন।
স্টেলান্টিস ক্রাইসলার, রাম ও ফিয়াট কার তৈরি করে থাকে। গত বছর স্বাক্ষরিত চুক্তি নিয়ে শুক্রবার তারা ফেডারেল সরকারের সঙ্গে দেখা করে। এখন তারা আপৎকালীন পরিকল্পনা শুরু করেছে।
উইন্ডসরে ৫০০ কোটি ডলারে বিনিয়োগে ব্যাটারি প্রস্তুতকারী বৃহৎ প্ল্যান্ট নির্মাণে স্টেলান্টিস ও দক্ষিণ কোরীয় ব্যাটারি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এলজি এনার্জি সলিউশন ২০২২ সালের মার্চে ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। নেক্সটস্টার এনার্জি নামক প্ল্যান্ট নির্মাণের প্রস্তুতি ভালোমতোই এগোচ্ছে। সেখানে আড়াই হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আমা করা হচ্ছে।
উইন্ডসরের মেয়র ড্রিউ ডিকেন্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, ফেডারেল সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করায় পুরো চুক্তিই এখন প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এটা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণের প্ল্যান্টকেই কেবল হুমকিতে ফেলেনি, সেই সঙ্গে এই অঞ্চলে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগকেও বাধাগ্রস্ত করছে। এই অচলাবস্থা আমাদের কমিউনিটির হাজারো চাকরিকে চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
চুক্তিটি এগিয়ে নিতে সব স্তরের সরকারের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু করদাতাদের যে অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার পরিমাণ এখনো প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। স্টেলান্টিস শুক্রবার এ ব্যাপারে ফেডারেল সরকারের প্রতি তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
মুখপাত্র লোআন গোসেলিন বলেন, কানাডিয়ান সরকার তাদের প্রতিশ্রুতির কোনো কিছুই এখন পর্যন্ত রাখেনি। ফলে স্টেলান্টিস এবং এলজি এনার্জি সলিউশনকে দ্রুতই তাদের আপৎকালীন পরিকল্পনা তৈরি করতে হচ্ছে। তবে এই পরিকল্পনার বিস্তারিত জানাননি তিনি।
তবে কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে ফেডারেল সরকার। শিল্পমন্ত্রী ফ্রাসোয়াঁ-ফিলিপে শ্যাম্পেইনের মুখপাত্র লোরি বুশার্ড বলেন, সরল বিশ^াসে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে কানাডিয়ানদের জন্য যা সবচেয়ে ভালো সেই ধরনের চুক্তিতে যাওয়া এবং এখনো তাই আছে।
প্রদেশের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি তারা। ডিকেন্স বলেন, কারাখানার জন্য জায়গা প্রস্তুতের জন্য সিটি কর্তৃপক্ষ তহবিল জোগান দিচ্ছে।