রুফিং স্ক্যামে জড়িত থাকার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে টরন্টো পুলিশ। ওই ঘটনায় একজন বাড়ি মালিক ওই তরুণকে প্রায় ১০ হাজার ডলার হস্তান্তর করেন।
পুলিশ বলছে, রুফার সেজে তিন ব্যক্তি ২৫ এপ্রিল কক্সওয়েল ও ড্যানফোর্থ অ্যাভিনিউয়ের এক বাড়ির মালিকের কাছে যান এবং বলেন, তারা বাড়িটির ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত দেখেছেন এবং পরিদর্শন করতে চান। বাড়ির মালিক রাজি হওয়ার পর এক ব্যক্তি ছাদে যান এবং মেরামতের জন্য ১৮ হাজার ৫০০ ডলারের কোটেশন দেন। কাজ শুরু করার আগে বাড়ির মালিক ওই তিন ব্যক্তির অনুকূলে ৯ হাজার ডলার জমা করেন। পরদিন সাব-কন্ট্রাক্টে একজন ক্রু কাজ শুরু করেন। এ সময় সন্দেহভাজন মূল কোটেশন দেখিয়ে সামগ্রী ক্রয়বাবদ অতিরিক্ত ৩ হাজার ডলার দাবি করেন। বাড়ির মালিক ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করে ফেরার পর দেখেন ওই ব্যক্তি চলে গেছেন। ওই ব্যক্তি নতুন ক্রুর কাছে অতিরিক্ত অর্থ দিতে বলেন।
এই সময় বাড়ির মালিকের সন্দেহ হতয় এবং তিনি পুলিশকে খবর দেন। তিনদিন পর সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে এগলিন্টন ও বেভিউ অ্যাভিনিউতে দেখতে পেয়ে এক ব্যক্তির সন্দেহ হলে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ কর্মকর্তারা এসে দুই ব্যক্তিে ও একজন সাব-কন্ট্রাক্টরকে মালিকের বাড়িতে দেখতে পান।
কক্সওয়েল ও ড্যানফোর্থের ঘটনায় সন্দেহভাজনের সঙ্গে বর্ণনায় মিল থাকা এক ব্যক্তিকেও সেখানে দেখা যায় এবং গেপ্তার হওয়ার আগে তিনি পালিয়ে যান।
নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা না থাকা ১৮ বছর বয়সী স্টুয়ার্ট মিলেটকে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে ৫ হাজার ডলারের জালিয়াতি এবং অসদাচরণের আরও ৫ হাজার ডলারের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উভয় ঘটনাতেই ওই ব্যক্তিরা নিজেদেরকে সিও রুফিং অ্যান্ড ম্যাসোনারির কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন।
এ ঘটনায় সাবকন্ট্রাক্টরকে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হয়নি। তবে এই চক্রান্তের শিকার প্রথম ব্যক্তি কোনো অর্থ ফেরত পেয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ বলছে, এ ধরনের ঘটনার শিকার আরও অনেকেই থাকতে পারেন। রুফার সেজে প্রতারণায় জড়িত বাকি দুইজনের কোনো পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
গত কয়েক সপ্তাহে টরন্টো ও এর আশপাশের এলাকায় এ ধরনের আরও কিছু ঘটনার কথা জানা গেছে। গত মাসেই টরন্টোর এক দম্পতি এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ১৬ হাজার ডলার খুইয়েছেন।
এ ধরনের প্রতারণার ব্যাপারে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে ৪১৬-৮০৮-৫৩০০ নাম্বারে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।