শুক্রবার - এপ্রিল ২৬ - ২০২৪

রোগীর মেডিকেল তথ্য গেল সাবেক স্বামীর কাছে

নর্থ ইয়র্ক জেনারেল হসপিটালের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা এলিকা সফর জাদেহ ২০ মার্চ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না

টেক্সট ও ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে টরন্টোর এক চিকিৎসক এক রোগীর ব্যক্তিগত মেডিকেল তথ্য তার সাবেক স্বামী, বন্ধু ও কন্যার কাছে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় আগামী আগস্ট পর্যন্ত ওই চিকিৎসকের চিকিৎসা কাজে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নর্থ ইয়র্ক জেনারেল হসপিটালের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. এলিকা সফর জাদেহ ২০ মার্চ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। রোগীর মেডিকেল রেকর্ড তার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে বিনিময় করার কথা স্বীকার করার পর ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মার্চে মাসে প্রকাশিত অন্টারিও ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স ডিসিপ্লিন ট্রাইব্যুনালে (ওপিএসটিডি) এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

তাতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো জাদেহর কাছে চিকিৎসা নিতে যান ওই রোগী। ভর্তি হওয়ার পর রোগীকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। এর চার বছর পর ২০১৯ সালে জাদেহ রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। কিন্তু তার সাবেক স্বামীর সঙ্গে ঠিকই যোগাযোগ রাখেন। তার সাবেক স্বামীও একজন চিকিৎসক বলে ট্রাইব্যুনালে উল্লেখ করা হয়েছে। জাদেহ এরপর রোগীর মেডিকেল রেকর্ডপত্র তার সম্মতি না নিয়েই তা সাবেক স্বামীকে জানান। জাদেহ বলেন, ওই রোগী তাকে হয়রানীর পাশাপাশি হুমকি দিরেত থাকেন এবং ভবিষ্যতে কোনো আইনি প্রক্রিয়ার কথা ভেবে আগের চিকিৎসার রেফারেন্স রাখঅ দরকার বলে মনে করেন। এরপর তিনি মেডিকেল রিপোর্টের ছবি তোলেন এবং রোগীর সাবেক স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেন। কমিটি একে গুরুতর পেশাগত অসদাচরণ হিসেবে উল্লেখ করে। বিশেষ করে পেশাগত সুবিধালাভের আশায়।

- Advertisement -

এ ছাড়া কমিটি সফর জাদেহর আচরণকে বিশেষভাবে সমস্যাপূর্ণ হিসেবেও উল্লেখ করে। গোপনীয়তা লঙ্ঘনের কারণেই কেবল নয়, ওই রোগীর মেডিকেল রেকর্ডপত্র দেখতে যে পরিমাণ সময় ব্যয় করেছেন সেজন্যও একে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেছে কমিটি। তারা বলেছে, নিরীক্ষা অনুযায়ী সফর জাদেহ ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি মেডিকেল রেকর্ড দেখার কাজে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করেছেন।

ওপিএসডিটি আরও জানতে পারে, সফর জাদেহ ওই নারীর সাব্কে স্বামীকে তাদের সন্তানদের ছবিও পাঠাতে চেয়েছিলেন। ওই নারী হয়রানী বন্ধ না করলে এটা করতে চেয়েছিলেন তিনি। এসব কার্যক্রম সন্তানদের ওপর ওই নারীর অভিভাকত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারতো বলে মত দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

- Advertisement -

Read More

Recent