কানাডার বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার গত মাসেও হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী সুদের হার অপরিবর্তীতই থাকছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত সর্বশেষ ভোক্তা মূল্য সূচক প্রতিবেদনে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে কানাডার বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিলের পর যা সবচেয়ে বড় পতন। গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ফেব্রুয়ারির মূল্যস্ফীতি ২০২২ সালের জানুয়ারির পর সর্বনি¤œ। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির এই প্রতিবেদনকে আশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তিনি বলেন, দুই মাস ধরে আমরা মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।
কানাডার মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চে উঠেছিল গত গ্রীষ্মে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। এর পর থেকেই কমছে মূল্যস্ফীতির এই হার। বৈশি^ক মূল্যস্ফীতি সহনীয় হয়ে আসায় ও সুদের হার বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এই ফলাফল দেখা যাচ্ছে। সুদের হার আরও না বাড়ালেও মূল্যস্ফীতির হার হ্রাস অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছে ব্যাংক কানাডা। এ মাসের গোড়ার দিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিনির্ধারণী সুদের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশে অপরিবর্তীত রেখেছিল। গত বছর সুদের হার বাড়ানো শুরু করার পর এই প্রথম সুদের হার অপরিবর্তীত রাখলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ফেব্রুয়ারিতে গ্যাসোলিনের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় জ¦ালানি মূল্য দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারির পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই বার্ষিকভিত্তিতে প্রথমবারের মতো গ্যাসোলিনের দাম কমল।
তবে গ্রোসারি পণ্যের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে স্টোর থেকে খাদ্য ক্রয়ে বেশি গুনতে হয়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এ নিয়ে টানা সপ্তম মাসের মতো গ্রোসারি পণ্যের দাম দুই অংকের ঘরে বাড়ল।
খাদ্য ও জ¦ালানি বাদ দিলে ফেব্রুয়ারিতে দাম বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৮ শমতাংশ। জানুয়ারিতে বেড়েছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
This article was written by Rezaul Haque as part of the LJI