মঙ্গলবার - এপ্রিল ১৬ - ২০২৪

সিরিয়া ও তুরস্কের আরও বেশি নাগরিককে নেবে কানাডা

তুরস্ক ও সিরিয়ার অস্থায়ী বাসিন্দাদের থাকার মেয়াদ আরও বাড়ানোর সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি এই দুই দেশের নাগরিকদের ভিসা আবেদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া কথা জানিয়েছে কানাডা কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী শন ফ্রেজার শনিবার এ ঘোষণা দিয়েছেন

তুরস্ক ও সিরিয়ার অস্থায়ী বাসিন্দাদের থাকার মেয়াদ আরও বাড়ানোর সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি এই দুই দেশের নাগরিকদের ভিসা আবেদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া কথা জানিয়েছে কানাডা। কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী শন ফ্রেজার শনিবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫০ হাজারের বেশি মমানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও কয়েক লাখ মানুষ। ফ্রেজার বলেন, এই দুই দেশের যেসব নাগরিকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের এবং শিক্ষার জন্য সাময়িক ভিসা রয়েছে তাদেরকে আরও থাকার সুযোগ দেওয়া হবে। এজন্য কোনো ধরনের আবেদন ফি নেওয়া হবে না। এ ছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের সাময়িক ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণেও অগ্রাধিকার দেবে অভিবাসন বিভাগ। যারা সাময়িক রেসিডেন্সি ভিসার জন্য আবেদন করবেন আমরা সেসব আবেদন বিবেচনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেবো।

- Advertisement -

অন্টারিওর মিসিসোগাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত বছর রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার পর সেখানকার বাসিন্দাদের গ্রহণের যে চেষ্টা তা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। ইউক্রেনের বিপুল সংখ্যক মানুষকে আমরা সাময়িক সুরক্ষা দিয়েছি। সাধারণ শরনার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচির চেয়ে এই পদ্ধতিতে কাজটা দ্রুত সম্ভব হয়েছে।

১০ মার্চ পর্যন্ত হিসাবে সিরিয়ার ৬০০ এবং তুরস্কের ৬ হাজার ৪০০ এর মতো নাগরিক কানাডায় অস্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কানাডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করেছেন এই দুই দেশের ১৬ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৭০০ জন ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকার নাগরিক।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের আগেই সিরিয়ার প্রায় ৬৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ২০১১ সালের পর থেকে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ৬৮ লাখের বেশি সিরিয়ান। এর মধ্যে কেবল তুরস্কতে গেছেন ৩৬ লাখ সিরিয়ান।

This article was written by Rezaul Haque as part of the LJI

- Advertisement -

Read More

Recent