বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ মহামারি ঘোষণার পর তিন বছর শনিবার পার হয়েছে। কানাডায় ভাইরাসটি মোটামুটি একটা স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তিনি বলে আসছেন, নতুন ধরনের কারণে সংক্রমণের কোনো ঢেউ এখন দেখা যাচ্ছে না। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ এখনো হচ্ছে। তবে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর হারে স্থিতিশীলতা রয়েছে।
ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, উচ্চ হারে ভ্যাকসিন গ্রহণ ও সংক্রমণের ফলে লোকজনের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষতা এখন অনেক বেশি। এই প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ভাঙতে পারে এমন কোনো নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসছে কিনা তার ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন কর্মকর্তারা। সামনের মাসগুলোতে কানাডায় নতুন কোনো ধরন নাও আসতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, কোভিড-১৯ শেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বয়স্ক ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের মধ্যে সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই এখনো যারা ভ্যাকসিন বা বুস্টার ডোজ নেননি তাদেরকে তা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এই বসন্তে সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্ত বয়স্কদের বাড়তি বাইভ্যালেন্ট বুস্টার ডোজ গ্রহণের সুপারিশ করছে ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশন। তবে সেক্ষেত্রে সর্বশেষ ডোজটি নেওয়ার পর ছয় মাস বা তার বেশি সময় পার হতে হবে। এদের মধ্যে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ নাগরিক, লং-টার্ম কেয়ার হোমের বাসিন্দা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এমন ব্যক্তি।
ট্যাম বলেন, গত তিন বছরে বিপুল সংখ্যক কানাডিয়ান কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছে ৫১ হাজারের বেশি মানুষ।