মঙ্গলবার - এপ্রিল ২৩ - ২০২৪

আশ্রয়প্রার্থীদের নিরুৎসাহিত করার আহ্বান কুইবেকের প্রিমিয়ারের

হেরিটেজ মন্ত্রী পাবলো রডরিগেজ বলেন কুইবেকে প্রবেশ করা অভিবাসীদের অন্য প্রদেশে পাঠানো যায় কিনা তা নিয়ে প্রদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে

প্রদেশের বাইরে থেকে যেসব আশ্রয়প্রত্যাশী কুইবেকের দক্ষিলণাঞ্চলীয় অনিয়মিত সীমান্ত দিয়ে যারা কানাডায় প্রবেশ করেছে তাদের বেশিরভাগকেই ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেল সরকার। একে স্বাগত জানিয়েছে কুইবেক সরকার।

কুইবেকের অভিবাসনমন্ত্রী ক্রিস্টিন ফেশেটের একজন মুখপাত্র বলেন, সোমবার রোক্সাম রোড পার হয়ে যে ১২৫ জন অভিবাসী কানাডায় প্রবেশ করেছেন, তাদের মধ্যে ১০২ জনকে প্রদেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনি ও রোববার রোক্সাম রোড দিয়ে যে ৩৮০ জন আশ্রয়প্রত্যাশী কানাডায় প্রবেশ করেছে তাদের মধ্যে আটজন বাদে সবাইকেই অন্য প্রদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

- Advertisement -

মুখপাত্র আলেক্সান্দ্রা লাহাই এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা আশা করি এটা অব্যাহত থাকবে। অভিবাসীদের ঢেউ থামাতে কমিউনিটি সংগঠনগুলো অনেক চাপে রয়েছে। এ নিয়ে যে কাজ করা উচিত ফেডারেল সরকারের তা বোঝা উচিত।

অটোয়াতে হেরিটেজ মন্ত্রী পাবলো রডরিগেজ বলেন, কুইবেকে প্রবেশ করা অভিবাসীদের অন্য প্রদেশে পাঠানো যায় কিনা তা নিয়ে প্রদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। অভিবাসী গ্রহণের ক্ষেত্রে কুইবেক তাদের হিস্যার চেয়ে বেশি করেছে এবং আমরা সেটা স্বীকার করি। সেজন্য কুইবেক সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। কুইবেকের ওপর থেকে চাপ কমানোর লক্ষ্যে আমরা অন্যান্য প্রদেশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি।

আরও কিছু প্রদেশেরও কর্মীর প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাউকেই ফেরত পাঠানো বা অন্য কিছু করা হচ্ছে না। এটা করা হবে স্বেচ্ছাভিত্তিতে। কিন্তু কুইবেকের চেষ্টা যে এখানে ব্যাপক সেটা আমরা স্বীকার করছি এবং শুরু থেকেই আমরা তাদেরকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।

ফেডারেল সরকারের উপাত্ত অনুযায়ী, ২০২২ সালে কুইবেকের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তে ৩৯ হাজার ১৭১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে বাধঅ দিয়েছে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)। ২০২২ সালে সংখ্যাটি ছিল ৪ হাজার ৯৫। ২০২২ সালে অনিয়মিতভাবে যেসব আশ্রয়প্রার্থী কানাডায় প্রবেশ করে সংখ্যাটি তার ৯৯ শতাংশ।

কুইবেকের প্রিমিয়ার ফ্রাসোয়াঁ লেগু বুধবার যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশাী রোক্সাম রোড দিয়ে কানাডায় প্রবেশ করছে তাদেরকে নিরুৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের কানাডা আশ্রয় দেবে বলে ২০১৭ সালে করা ট্রুডোর টুইট কানাডায় আশ্রয়প্রার্থী বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

- Advertisement -

Read More

Recent