হাইব্রিড ও দূর থেকে কাজ কোভিড-১৯ মহামারির সময় সাধারণ বিষয় হয়ে গিয়েছিল এবং শিগগিরই তা বদলাচ্ছে না। কিন্তু কিছু বড় কোম্পানি চাইছে কর্মীরা তাদের অফিস ডেস্ক থেকে কাজ শুরু করার তথ্য জানাক।
বৈশি^ক মহামারি শুরু হওয়ার তিন বছর পর আরোপিত জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধের প্রায় সবই তুলে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোম্পানিগুলো কর্মীদের অফিসে উপস্থিত হওয়ার দিনের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। যেসব বড় কোম্পানি কর্মীদের ২০২৩ সালে কর্মীদের আরও বেশি কর্মদিবস অফিসে রাখার কথা ভাবছে স্টারবাকস, ডিজনি ও টুইটার তাদের মধ্যে অন্যতম। মহামারির সময় কোম্পানিগুলো তাদের কর্মীদে ল্যাপটপ ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল, যাতে করে তারা সেখানে বসেই অফিসের কাজ করতে পারেন।
কানাডার কোম্পানিগুলোও এই পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, প্রতিটি কর্মদিবসই অফিসে ফিরতে হলে অনেক কর্মীই চাকরি পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভ ম্যাকে বলেন, মোট দিবসের অর্ধেক যাতে কর্মীরা অফিসে আসেন সেটা নিশ্চিতে কাজ করছেন তারা। তবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন হাইব্রিড কর্মীদেরকে তাদের অফিসে ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কেও কথা বলেন তিনি।
ম্যাকে বলেন, সত্যি কথা বলতে, এক্ষেত্রে প্রতিরোধ আসছে। কাজটা সহজ নয়। কিছু জুনিয়র ও সিনিয়র কর্মী অফিসে থাকতে চান। কিন্তু অনেকেই তাদের জীবন ও পারিবারিক বাধ্যবাধকতাগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রাখতে চান। এই যাত্রায় কর্মীদের সঙ্গে বসা ও তাদের কথা শোনা গুরুত্বপূর্ণ। এটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আপনাদের সত্যিকারের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং এর সঙ্গে একমত হওয়াটা নিশ্চিত করা জরুরি।
অন্যান্য কানাডিয়ান বলছে, তারা হাইব্রিড কর্মসপ্তাহ রাখতে চায়। প্রতিষ্ঠান অফিসে ফেরার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যচালিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে চাই। অফিসে আসার বাধ্যবাধকতা নির্ভর করবে দায়িত্বের ধরণ ও ওই দিনে অর্পিত কাজের ভিত্তিতে।
তিনি বলেন, এই পরিকল্পনায় কর্মীদের মতামতের একটা ভূমিকা রয়েছে। হাইব্রিড কর্মীরা বাড়িতে থাকার কারণ হিসেবে দীর্ঘ দূরত্বের কথা উল্লেখ করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নতুন কর্মক্ষেত্রে রয়েছে নিবিষ্টভাবে কাজ করার স্থান, টিম মিটিং অথবা প্রশিক্ষণ সেশনের স্থান, ডে লকার, প্রিন্টিং এবং বিস্ট্রো।
This article was written by Rezaul Haque as part of the LJI