শুক্রবার - এপ্রিল ২৬ - ২০২৪

তোপের মুখে কারা কর্মকর্তারা

শুনানির সময় নিউ ডেমোক্রেটিক এমপি ব্লেক ডেসিয়ারলেস ব্যবস্থাটি ভেঙে পড়ার জন্য কারেকশনাল সার্ভিস কানাডার কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করেন

ফেডারেল কারাগারে বন্দী কৃষ্ণাঙ্গ ও আদিবাসী অপরাধীদের অবস্থার উন্নতির জন্য শীর্ষ কারা কর্মকর্তাকে চাপে রেখেছেন অডিটর জেনারেল ও সংসদ সদস্যরা। হাইস অব কমন্সের দুটি কমিটি কানাডিয়ান কারাগারের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে এবং সব দলের এমপিরাই কানাডার কারা ব্যবস্থার তিরস্কার করেন।

শুনানির সময় নিউ ডেমোক্রেটিক এমপি ব্লেক ডেসিয়ারলেস ব্যবস্থাটি ভেঙে পড়ার জন্য কারেকশনাল সার্ভিস কানাডার কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করেন। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তিনি বলেন, কানাডার আদিবাসী ও কৃষ্ণাঙ্গদের যে ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে তা নিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন অডিটর জেনারেল। এবং পদ্ধতিটি একই রকম রয়ে যাচ্ছে। এই কথা যখন তিনি বলছিলেন তখন তাকে চোখের পানি মুছতে দেখা যায়।

- Advertisement -

অডিটর জেনারেল কারেন হোগান এ বছরের গোড়ার দিকে এক প্রতিবেদনে দেখেন, নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর অপরাধীদের অসুবিধা করেই যাচ্ছে এমন পদ্ধতিগত প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত ও দূর করতে ব্যর্থ হচ্ছে সার্ভিস। হেফাজতে আদিবাসী ও কৃষ্ণাঙ্গ অপরাধীদের অতিমাত্রায় প্রতিনিধিত্ব দিন দিন বাড়ছে।

হোগানের কার্যালয় ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে প্রকাশ করা প্রতিবেদনে একই বিষয়গুলো তুলে ধরেছিল। কারেকশনাল ইনভেস্টিগেটর অব কানাডার সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে যে, কানাডা কৃষ্ণাঙ্গ ও আদিবাসী কারাবন্দীদের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। জননিরাপত্তা কমিটির শুনানিতে ইভান জিঙ্গার বলেন, এই বন্দীরা বৈষম্য ও বর্ণবাদের শিকার।

তিনি আরও বলেন, বন্দীদের বড় অংশ খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন এবং এ থেকে বেরোনোর কোনো উপায় নেই। কারাগারে যেসব বন্দী কাজ করছেন ১৯৮১ সাল থেকে তাদের বেতন বাড়েনি। ওই সময় দৈনিক ৬ দশমিক ৯০ ডলারের যে বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল এখনো তাই আছে। টুথপেস্ট ও সাবানের মতো সামগ্রীর মূল্য পরিশোধের জন্য এটা যথেষ্ট নয়। কারণ, কারাগারে এগুলো বিনামূল্যে দেওয়ান হয়নি।

জিঙ্গার বলেন, কারেকশনাল সার্ভিস কানাডা অনেক কর্পোরেট নথি তৈরিতে পরাদর্শী। কিন্তু বন্দীদের যেখানে রাখা হয় সে পর্যন্ত তা পৌঁছায় না।

ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার মধ্যে পদ্ধতিগত প্রতিবন্ধকতা এবং বর্ণবাদের উপস্থিতি রয়েছে কমিশনার অ্যানি কেলি তা স্বীকার করেন।

This article was written by Rezaul Haque as part of the LJI

- Advertisement -

Read More

Recent