বাড়ি খালি আছে কিনা টরন্টোবাসীদের সেই ঘোষণা দেওয়ার সময়সীমা এই মাসের শেষ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। টরন্টো মেয়র জন টরি এই ঘোষণা দিয়েছেন।
বাড়িমালিকদের বাড়ির অবস্থা জানানোর শেষ দিন ছিল ২ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হলে ২৫০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সময়সীমা ফেব্রুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত বর্ধিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেয়র জন টরি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২ ফেব্রুয়ারির পর ঘোষণা দিলেও কোনো জরিমানা প্রযোজ্য হবে না এবং আমি আশা করবো এ সংক্রান্ত ফরম পূরণে এটা উৎসাহিত করবে টরন্টোবাসীকে, যাতে করে তাদের কর পরিশোধ করতে না হয়। তারা যদি এটা করে তাহলে অনেক কল ও ইমেইল এড়ানো সম্ভব হবে, যা লোকজন চায় না।
জন টরি বলেন, ৮৪ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ির মালিক এরই মধ্যে বাড়ির অবস্থা সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছেন। এর অর্থ হলো এখনো বিপুল সংখ্যক বাড়িমালিক কাগজপত্রের কাজ শেষ করে উঠতে পারেননি।
ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা যদি ঘোষণা না দেন তাহলে সিটি কর্তৃপক্ষ এসব বাড়ি খালি বলে ধরে নেবে এবং বাড়ির মূল্যমানের ওপর ১ শতাংশ হারে কর ধার্য্য করবে, যা বসন্তে পাঠানো সম্পদ কর বিলের সঙ্গে যুক্ত হবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জন টরি জোর দিয়ে বলেন, খালি বাড়ির ওপর কর ধার্য্যরে উদ্দেশ্য রাজস্ব আহরণ নয়। এর উদ্দেশ্য খালি বাড়ির মালিকদের তা বিক্রি করতে বা ভাড়া প্রদানে রাজি করানো।
সিটি কর্মীরা এর আগে এক হিসাবে বলেছিলেন, খালি বাড়ির ওপর কর থেকে বছরে ৫ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার রাজস্ব আসতে পারে। এই অর্থ পরবর্তীতে সাশ্রয়ী আবাসন উদ্যোগে ব্যয় করা হবে।
কাগজে বা অনলাইনে বাড়ির অবস্থা সংক্রান্ত ঘোষণা জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে টরন্টোর বাড়িমালিকদের কয়েক মাস আগেই চিঠি পাঠানো হয়। কোনো বাড়ি আবাসিক না হলে সেক্ষেত্রে ঘোষণা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এ ধরনের বাড়ির মধ্যে রয়েছে লকার অথবা পার্কিং লট।
বাড়ির মালিক, অনুমোদিত অন্য কেউ অথবা ভাড়াটিয়া পূর্ববর্তী পঞ্জিকাবর্ষের ছয় মাস বা তার বেশি সময় ধরে প্রধানত বসবাসের জন্য কোনো বাড়ি ব্যবহার না করলে তা খালি বলে বিবেচিত হবে। কোনো মালিক বাড়ির বসবাস সংক্রান্ত ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হলেও ওই বাড়ি খালি বলে বিবেচিত হবে।