মঙ্গলবার - এপ্রিল ১৬ - ২০২৪

ফাইজারের বাইভ্যালেন্ট কোভিড ভ্যাকসিনে স্ট্রোকের উচ্চ ঝুঁকি নেই

হেলথ কানাডার তথ্য অনুযায়ী স্ট্রোকের সঙ্গে এমআরএনএ বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিনের কোনো সম্পর্ক এখনো নেই

ফাইজারের হালনাগাদকৃত কোভিড-১৯ বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিনে বয়স্কদের মধ্যে স্ট্রোকের সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সাম্প্রতিক উপাত্তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও হেলথ কানাডার তথ্য অনুযায়ী, স্ট্রোকের সঙ্গে এমআরএনএ বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিনের কোনো সম্পর্ক এখনো নেই।

হেলথ কানাডার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ইসেমিক স্ট্রোক সবচেয়ে সাধারণ স্ট্রোকের ধরন। এতে মস্তিষ্কের ব্লাড ভেসেল বন্ধ হয়ে হঠাৎ মস্তিষ্ক তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। একাধিক কারণে এটা হতে পারে। ধুমপান, উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলতা, ডায়াবেটিস ও রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল এর মধ্যে অন্যতম।

- Advertisement -

যদিও ফাইজারের বাইভ্যালেন্ট কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ও ৬৫ বছর ও তার বেশি বয়সীদের মধ্যে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক ঘোষণার ব্যাপারে হেলথ কানাডা ও পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডা অবগত রয়েছে, তারপরও সিডিসি ভ্যাকসিনেশন চর্চায় কোনো ধরনের পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেনি।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি সংস্থাটি বলেছে, ১ জানুয়ারি পর্যন্ত কানাডায় ৭০ লাখেল বেশি মানুষকে এমআরএনএ বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডা বা হেলথ কানাডা কেউই থ্রম্বোএম্বোলিক বা ভাস্কুলারের কোনো ঘটনার ইঙ্গিত প্রত্যক্ষ করেনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সম্ভবত আন্তর্জাতিক আর কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থাও এখন পর্যন্ত ফাইজারের বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিনের সঙ্গে স্ট্রোকের সম্ভাব্য যোগসূত্র খুঁজে পায়নি। কানাডায় অনুমোদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের নিরাপদতার ওপর হেলথ কানাডা ও পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডা সার্বক্ষণিক চোখ রাখছে, যাতে করে এর উপকারীতে ঝুঁকিকে ছাড়িয়ে যায়।
বয়স্কদের মধ্যে ফাইজারের বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিনের সঙ্গে ইসেমিক স্ট্রোকের কোনো ধরনের সম্পর্ক আছে কিনা তা এখনো তদন্ত করে দেখছে সিডিসি এবং ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। এর মধ্যেই মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, জানুয়ারিতে সিডিসি যে সতর্কতার কথা শুনিয়েছিল, এটা তার চেয়ে দুর্বল। আরও দুটি সেফটি মনিটরিং ডাটাবেজে ফাইজারের বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন ও স্ট্রোটের মধ্যে স্ট্রোকের কোনো সম্পর্ক তারা সনাক্ত করতে পারেননি।

পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডার তথ্য অনুযায়ী, তিন বছর আগে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এতে আক্রান্ত হয়ে ৫০ হাজারের বেশি কানাডিয়ান মারা গেছেন। বর্তমানে সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ১৩৫ জনে। এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিয়ে যাওয়া একমাত্র প্রদেশ হচ্ছে কুইবেক। সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে এই প্রদেশে এবং সংখ্যাটি ১৭ হাজার ৮৬৫। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু অন্টারিওতে। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রদেশটিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫ হাজার ৭৮৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি মারা গেছে আলবার্টায় ৫ হাজার ৪৭০ জন।

- Advertisement -

Read More

Recent