প্রদেশের রাজধানীতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি অব ফ্রেডেরিক্টন। ২০২২ সালে বাড়ি নির্মাণের জন্য ২৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার ইস্যু করে তারা, যা আগের বছরের চেয়ে ৭ কোটি ডলার বেশি। এর ফলে ৯৩৮টি নতুন বাড়ি নির্মিত হয়েছে।
সিটি অব ফ্রেডেরিক্টনের পরিকল্পনাবিদ ফ্রেডেরিক ভ্যান রুয়েন বলেন, আপেক্ষিকভাবে আমরা চাহিদা পূরণ করছি এবং নির্ধারিত প্রবৃদ্ধির সঠিক স্থানগুলোতে উন্নয়নও দেখতে পাচ্ছি। আবাসিক উন্নয়নের ব্যয়ই কেবলমাত্র ৩ কোটি ১০ লাখ ডলার বেড়েছে, যা দশ বছর আগের গড়ের দ্বিগুন।
৭৩৭টি নতুন বাড়ি ও টাউনহাউস সত্ত্বেও সাশ্রয়ী আবাসন এখনো চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করেছে সিটি কর্তৃপক্ষ। মেয়র কেট রজার্স এক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রথমে যা ধারণা করা হয়েছিল, উন্নয়ন হয়েছে তার দ্বিগুন। ২০২২ সালে নির্মিত বাড়ির মাত্র ২৫ শতাংশকে সাশ্রয়ী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সাশ্রয়ী আবাসনের সংকট যে বেসরকারি খাতের একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়, সেটা তিনি জানেন। এক্ষেত্রে প্রধান যে চ্যালেঞ্জটি সিটি কাউন্সিল চিহ্নিত করেছে তা হলো অলাভজনক খাতের জন্য জমি অধিগ্রহণ। যাতে উন্নয়ন সম্ভব হয় সে জন্য আমরা জমি উন্মুক্ত করে দিছি। জমি কেনার মতো পর্যাপ্ত নগদ অর্থ তাদের কাছে নেই।
এনবি কোয়ালিশন ফর টেনান্টস রাইটস বলেছে, সিটির নীতি সঠিক পথে রয়েছে বলেই তারা মনে করছে। কিন্তু আরও তাগাদা প্রয়োজন।
অন্যদিকে বেসরকারি খাত বলছে, প্রাদেশিক ও ফেডারেল অংশীদারদের মাধ্যমে অর্থায়নের গতি ধীর এবং আবাসন নির্মাণের ব্যয়ে সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলেই মনে হয়।
ন্যুনতম সংখ্যক নুতন সাশ্রয়ী বাড়ি নির্মাণের শর্ত রেখে বাইল আনার কথা ভাবছে সিটি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অন্তর্ভুক্তিমূলক জোনিং যে সঠিক সমাধান নয়, গবেষণায় সেটা উঠে এসেছে। রজার্স বলেন, গবেষণায় আমাদের দেখানো হয়েছে যে, এটা সম্ভবত সবচেয়ে কার্যকর পন্থা নয়। আমাদের উচিত অন্য এলাকায় মনোযোগ দেওয়া। আমাদের এখন বাড়ি দরকার।