বৃহস্পতিবার - এপ্রিল ২৫ - ২০২৪

রায়ান ইমগ্রান্ডের বিরুদ্ধে আবারও অসদাচরণের অভিযোগ

অন্টারিওর সাবেক শিক্ষক রায়ান ইমগ্রান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় পেশাদারিত্ব সংক্রান্ত অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। অন্টারিও কলেজ অব টিচার্স (ওসিটি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে কোভিড-১৯ নিয়ে মন্তব্যের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক অনুসারী তৈরি হয় তার।

- Advertisement -

সাম্প্রতিক অভিযোগের ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ আছে ওসিটিরর দেওয়া শুনানির নোটিশে। নোটিশে বলা হয়েছে, ইমগ্রান্ড তার নিজের চারটি নগ্ন ছবি ২০০৫ সালে ১৮ বছর বয়সী এক নারীকে পাঠান। ইমগ্রান্ড ওই নারীর বাবা-মায়ের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন এবং ছবিগুলো এমএসএন মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠানো হয়।

ওই সময় ইমগ্রান্ড ইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট ক্যাথলিক স্কুল বোর্ডে (ওয়াইসিডিএসবি) কর্মরত ছিলেন। তবে ইমগ্রান্ডের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বা এসব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিতও হয়নি।
বায়োস্ট্যাটিস্টিশিয়ান হিসেবে পরিচয় দেওয়া ইমগ্রান্ড মহামারির পুরো সময়জুড়ে কোভিড-১৯ নিয়ে নিয়মিত বিশ্লেষণ পোস্ট করেন। এর ফলে টুইটারে তার ৯০ হাজার অনুসারী তৈরি হয়। ৩০ নভেম্বর পেইড সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস প্যাট্রিয়নে ইমগ্রান্ড তার বক্তব্য তুলে ধরেন।

সেপ্টেম্বরে দেওয়্ াশুনানির প্রথম নোটিশে ওয়াইসিডিএসবিতে থাকাকালে ইমগ্রান্ড শিক্ষার্থীদের মানসিক ও যৌন নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। নোটিশে ২০০৫ সালে পাঁচজন শিক্ষার্থীর বক্তব্য বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাঁচজনই একটি স্কুল টিমে ছিলেন, যার কোচ ছিলেন ইমগ্রান্ড। সেপ্টেম্বরের নোটিশ অনুযায়ী, ইমগ্রান্ড চার শিক্ষার্থীকে গ্রুপ মেসেজের মাধ্যমে মেসেজ পাঠান। তাদেরকে রিসোর্টের একটি পুলে তার সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

আরেক ঘটনায় ইমগ্রান্ডের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের বাটক তার ঠেলে দেওয়ার কৌশল শেখানোর অভিযোগ ওঠে। অনুশীলনের সময় তিন অ্যাথলেটকে এই কৌশল শেখান তিনি। এছাড়া ব্যক্তিগত পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এখতিয়ার বহির্ভুত যোগাযোগের অভিযোগও রয়েছে ইমগ্রান্ডের বিরুদ্ধে।

একবার তিনি শার্ট না পরা অবস্থায় নিজের একটি ছবি পাঠিয়ে বলেন, যদি বলো যে, আমাকে ভালো দেখাচ্ছে না, তাহলে আমানর কান্না পাবে।

অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য ইয়র্ক ক্যাথলিক ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, অন্টারিও কলেজ অব টিচার্সের বিচারাধীন থাকা বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে পারছে না। তবে ইমগ্রান্ড যে আর স্কুল বোর্ডের কর্মী নন সেটা নিশ্চিত করা হয়।

- Advertisement -

Read More

Recent