শুক্রবার - এপ্রিল ১৯ - ২০২৪

ক্ষমা চাইলো সানউইং

মেক্সিকোতে আটকাপড়া যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সানউইং

একটি ভিডিও সামনে আসায় মেক্সিকোতে আটকাপড়া যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সানউইং। ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচ মাসের শিশুসহ মেক্রিকোতে আটকাপড়া টরন্টোর এক ব্যক্তিকে সানউইংয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ না করতে বলছেন এক প্রতিনিধি। তা না হলে লোকজনকে সারাজীবনের জন্য সেখানে রেখে দিতে চান তিনি।

একাধিক যাত্রীর সামনে ঘটা ও সেলফোন ভিডিওতে ধারণ করা ওই প্রতিনিধির এই আচরণ সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন সানউইংয়ের একজন মুখপাত্র। এটা কোম্পানির মূল্যবোধের সঙ্গেও যায় না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। বিপুল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিলের কারণে আটকাপড়া যাত্রীদের কানাডায় ফিরিয়ে আনতে হিমশিম খাচ্ছে এয়ারলাইনটি।

- Advertisement -

এক বিবৃতিতে এয়ারলাইনটি বলেছে, ভিডিওতে ধারণ করা ওই প্রতিনিধির বক্তব্য সঠিক হয়নি। এ নিয়ে অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং ওই প্রতিধিনিকে এরই মধ্যে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তির মুখে পড়তে হবে তাকে। আমাদের যাত্রীরা যে বাজে অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়েছেন, সেজন্য তাদের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি এবং ওই প্রতিনিধির মন্তব্য আমাদের কোম্পানির মূল্যবোধেল পরিপন্থী।

বেশ কয়েকদিন ধরে চলা ভ্রমণ বিশৃঙ্খলার পর এ ধরনের মন্তব্য যাত্রীদের জন্য অপমানকর। কিছু যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হোটেলের লবিতে থাকতে হয় এবং সানউইংয়ের তরফ থেকে এক পর্যায়ে জানানো হয় যে, ফ্লাইটের ব্যবস্থা হয়নি। এর ফলে পরিবারের সঙ্গে ছুটি উপভোগের সুযোগ হাতছাড়া হয় তাদের।

এছাড়া ব্যাগেজ বেল্ট কাজ না করার কারণে টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজারো ব্যাগ হারিয়ে যায়। সানউইংয়ের ফ্লাইট বাতিলের ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন মেক্সিকো ও কিউবার যাত্রীরা। উদ্ধারের অপেক্ষায় থাকা অনেককে বিমানবন্দরের মেঝেেেতই ঘুমাতে হয়। একটি ছবিতে এক পরিবারকে কানকুন বিমানবন্দরের বাইরে সাইডওয়াকে কংক্রিটের ওপরেই কম্বল পেতে ঘুমাতে দেখা যায়। উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার সাস্কেচুয়ান থেকে আরও ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিতে হয় এয়ারলাইনটিকে।

বড়দিনের আগে কানকুন বিমানবন্দর থেকে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এয়ারলাইনটির প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার সময় যাত্রী রিতেশ ভাটিয়ার কোলে থাকা শিশুটি কাঁদছে। বিমানবন্দরে আগে আসার পরও টরন্টোতে ফেরার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে সেখানে তার ও তার পরিবারের নাম রয়েছে সবার নিচে। এটা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন ভাটিয়া। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে এয়ারলাইনটির একজন প্রতিনিধি তাকে বলেন, এখানেই লোকজন সারাজীবন যাতে থাকে সেটা আমি নিশ্চিত করবো।

- Advertisement -

Read More

Recent