বৃহস্পতিবার - এপ্রিল ২৫ - ২০২৪

কত কথার ফুলঝুরি ছিল তাদের, আর এখন…!

বেশিদিন আগের কথা নয়। দাম্পত্য জীবনে নানা মুহূর্তের স্থিরচিত্র একের পর এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে নানা কথার ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন পরীমনি ও শরিফুল রাজ। অথচ আজ সবই অতীত। সপ্তাহখানেক ধরে চলা দ্বন্দে তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে, তারা এখন দুই মেরুর বাসিন্দা।

- Advertisement -

শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহেও পরীমনির ফেসবুক প্রোফাইলে রিলেশনসিপ স্টাটাসে লেখা ছিল ‘ম্যারিড উইথ শরীফুল রাজ’। আর শরিফুল রাজের প্রোফাইলে ‘ম্যারিড উইথ পরীমনি’। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুজনের প্রোফাইল থেকে মুছে ফেলা হয়েছে সে লেখাটাও।

অথচ দিন কয়েক আগেও এই দুই তারকাকে ঘিরে চর্চিত হয়েছে নানা গল্প। অনেকে তাদের বিনোদন অঙ্গনের ‘আদর্শ স্বামী-স্ত্রী’র তকমা দেওয়াও শুরু করেছিলেন। হঠাৎ কী এমন হলো যে তাদের আলো ঝলমলে সংসার তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল?

পরীমনি ও শরিফুল রাজ দুজনের ফেসবুক পোস্টের দিকে তাকালে এটা পরিষ্কার, দুজন এখন দুজনের নামটিও শুনতে পারছেন না। একে অপরকে সহ্য করতে না পারা এই দুই তারকা গেল বছরের শুরুতে বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনার পর কত ধরনের কথার ফুলঝুরি যে ছুটিয়েছেন, তার হিসাব নেই।

জীবনসঙ্গী হিসেবে পরীমনি কেমন? এর জবাবে সে সময় রাজ বলেছিলেন, ‘সে কখনোই আমাকে ছেড়ে যাবে না, আমিও না। ভাবছি, দুজনের কবরটাও একসঙ্গে হবে।’

পরীমনি বলেছিলেন, ‘তার (রাজ) সঙ্গে মিশতে গিয়ে দেখলাম, আমরা দুজনই পাগল। দুজনই ভাবলাম, আমাদের সারা জীবন একসঙ্গে থাকা উচিত। তাই কোনো কিছু না ভেবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই আমরা।’

এমন কথার বছরও পার হয়নি। একসঙ্গে সারাজীবন থাকা এবং একসঙ্গে কবরে যাওয়ার বিষয় দূরে থাক, দুজনের দেখাদেখিই বন্ধ তিন-চার দিন ধরে। রাজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন পরীমনি। খুব শিগগির তাকে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন।

আলাদা হয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে পরীমনির ভাষ্য, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারলাম না। তার (রাজ) যে আচার-আচরণ, তাতে একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম।’

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত এক নায়িকাকে ঘিরে সংসারে অশান্তি- এমন ইঙ্গিত দিয়ে কিছুদিন আগে একটি পোস্ট করেন পরীমনি। সেটি নিয়ে বেশ তোলপাড় হয়। সেই থেকে পরীমনি ও রাজের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল।

পরীমনি ও শরীফুল রাজের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, তাদের সম্পর্কে চিড় ধরেছে কয়েক মাস আগেই। সন্তান পৃথিবীতে আসার পরও কয়েক মাস ভালো ছিলেন। এরপর টুকটাক কথা-কাটাকাটি হতো। তারপর সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে।

জানা গেছে, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কমে যাওয়ার কারণে দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। দুজনের প্রতি অবিশ্বাসও তৈরি হয়। সেই অবিশ্বাসের দেয়ার অনেকটাই পুরু হয়েছে এখন। এই ধরনের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার চেয়ে আলাদা থাকা ভালো বলে বলছেন ওই ঘনিষ্ঠজনরা।

পরীমনি যেমন রাজের সঙ্গে সংসার করতে চান বলে জানিয়েছে দিয়েছেন, রাজও তেমনি সোমবার গণমাধ্যমে বলেছেন, তিনিও আর পরীমনির সঙ্গে সংসার করতে চান না। দুজনে তো এখন আলাদাই থাকছেন, তাদের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদও এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সূত্র : ঢাকাটাইমস

- Advertisement -

Read More

Recent