শুক্রবার - এপ্রিল ১৯ - ২০২৪

ঝালস : শেষ পর্ব

ছবিএ্যাঙ্গেসমামুন

বেশ বড় একটা ঘর। দুপাশে ক্লোজেট। পায়ের দিকে দরজা। খোলা। হালকা পর্দা দেয়া। ডানদিকে টেবিল। তারপাশে ব্ল্যাড কিংবা স্যালাইন দেবার স্ট্যান্ড।জায়গাটা হাসপাতাল। সেটা বুঝতে পারছে সানাউল্লাহ। কিন্তু এখানে কেনো এলো, কখন এলো কিছুই মনে করতে পারছেনা। মাথাটা ব্যান্ডেজে ভরা। ভারী হয়ে আছে। তবু ঘাড় এপাশ ওপাশ করলো। লালমুখো স্বর্ণকেশী একজন নার্স এগিয়ে এলো। ঘাড়ের নড়াচড়ায় সে বুঝেছে ওর জ্ঞান ফিরেছে।

নার্সের দিকে ফ্যালফ্যাল দৃ্টিতে তাকিয়ে থাকে সানাউল্লাহ। ঠোঁটদুটো নড়াবার চেষ্টা করে। নার্স নিজের তর্জনী ঠোঁটে রেখে ওকে কথা বলতে নিষেধ করে।

- Advertisement -

‘তুমি চুপচাপ শোনো শুধু। কথা বলার প্রয়োজন নেই। তিনদিন হলো তুমি সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে।’ ফিসফিসিয়ে এক নাগাড়ে কথা বলে যায় নার্স।

সময় জানতে ইচ্ছে করে সানাউল্লাহর। আশেপাশে ঘড়ি নেই। ওর মোবাইল ফোনটাও কাছে নেই। শরীর ঘোরাতে পারছেনা। বুকে বেশ ব্যথা করছে। আরেকজন নার্স এসে ঢোকে কেবিনে।

জ্ঞান ফিরেছে?

হ্যাঁ।

প্রেশার মেপেছিলে।

জ্ঞান ফেরার আগে দেখেছিলাম। এখনো বেশ নীচে। আটানব্বুই বাই তেষট্টি!

ডিউটি ডাক্তারকে সব রিপোর্ট করো। সকালে ডঃ গ্রোজম্যান রোগী দেখবেন।

ওঁদের কথোপকোথনে সানাউল্লাহ আঁচ করে এটা গভীর রাত। সকাল হতে ঘন্টা কয়েক বাকী।

দু’নার্স এক সঙ্গেই বেরিয়ে যায় ঘর থেকে। খানিক্ষণ পরই ফিরে আসে প্রথমজন। হাতে ছোট্ট একটা বোতল। তরল খাবার। টেবিলে রেখে দেয়।  নার্স এবার মেকানিক্যাল চাপে সিটবেডের মাথার অংশটা উঁচু করে তোলে। বিছানা এখন মাঝখান থেকে পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রী কোণে ভাজ হয়ে আছে। সানাউল্লাহ শরীরে বাড়তি চাপ ছাড়াই পা ছড়িয়ে বিছানায় বসে আছে।

বোতলের ছিপি খুলে নার্স স্ট্র লাগিয়ে দেয়। স্ট্র’র অন্যমুখটা সানাউল্লাহর মুখে ঢুকিয়ে নার্স বোতল ধরে বসে থাকে।

‘ধীরে ধীরে খেতে থাকো। জোরে টান দিওনা। তোমার চেস্ট ও মাথায় ইনজুরি।’

সানাউল্লাহ অবোধ শিশুর মতো খেতে থাকে। এখনো কিছু মনে পড়ছেনা। মনে করতে গেলে মাথায় চাপ পড়ছে। অথচ দাদীর মুখটা স্পষ্ট চোখে ভাসছে। কাঁসার গেলাসে দুধ ভরে দাদী এভাবেই গেলাতো। দাদীর টিস্যু ছিলোনা। আঁচলে ঠোঁট মুছে দিতো।

খাওয়া শেষে নার্স বিছানা নামিয়ে সমান করে দেয়। চুপচাপ শুতে বলে সানাউল্লাহকে।

মাথাটা বালিশে দিয়ে ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। বাতির তেজ কমিয়ে নার্স বেরিয়ে যায়। ছাদের রং সাদা থেকে গোধূলির ধূলট আকার ধারণ করে। ভারী মাথাটা এবার শূন্য মনে হয়। যেনো ভেতরে নিরেট কোনো পদার্থ নেই। ফুলে ফাঁপা। ফাঁপা ডিস্কে কয়েকটি ফোটন কণা। বিন্দু বিন্দু আলো ছড়াচ্ছে। সে আলোয় দাদীর মুখটা আবার ভেসে ওঠে।

মায়ের কোনো স্মৃতি নেই সানাউল্লাহর। দুবছর বয়সে মা মারা যান। বাবা বিয়ে করেন আবার। নতুন মা সানাউল্লাহকে মেনে নিয়েছিলো। কিম্তু মানতে পারেনি শাশুড়ীকে। এক বছরের মাথায় পতিত ভিটেয় বাড়ি বানিয়ে চলে যায় বাবা আমানুল্লাহ। পুরনো বাড়িতে দাদীর সাথে বড় হতে থাকে সানাউল্লাহ।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ভয়াবহ বিপদে পড়ে সানাউল্লাহর দাদী। অক্টোবরের শেষদিকে পাকহানাদাররা ওদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। রান্নার একগাদা খড়ি যোগাড় করতে গিয়ে শুকুর মোল্লার নজরে পড়ে। বুড়ি এতো খড়ি দিয়ে কি করে? মানুষ মোটে দুইজন! রাজাকার শুকুর আলী নিশ্চিত হয় বাড়িতে মুক্তিরা আছে। ওঁদেরকেই রেঁধে খাওয়ায় বুড়ি। ক্যাম্পে গিয়ে খবর দেয় ক্যাপ্টেন মোশতাক ভাট্টিকে। বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে আগুন জ্বালাতে সময় নেয়নি ক্যাপ্টেন। সানাউল্লাহর বয়স তখন ছয়। দাউ দাউ আগুনে কেবল বাড়ি নয়, পুড়েছিলো দাদীর কপাল। শুকুর আলী জোর করে ভিটে ছাড়া করে ওদের।

হাসপাতালের সিলিংএ শুকুর আলীর মুখটা আঁকার চেষ্টা করে সানাউল্লাহ। একটা শুয়োরের ছবি ভেসে ওঠে। লবিতে স্ট্রেচার ঠেলার আওয়াজ কানে আসে। সিলিংয়ের ছবির সাথে মিলিয়ে আওয়াজটাকে ঘোঁৎ ঘোঁৎ শুয়োরের ডাক মনে হয়। কেমন যেনো বিটকেল গন্ধ আসছে। বমি পায় ওর।

মাথার যন্ত্রণাটা আরো বাড়ছে। দাদীর কোলে মাথা রাখতে ইচ্ছে করছে। হয়তো সব যন্ত্রণা নিমিষে দূর হতো। ছিয়াত্তরে দাদী মারা যায় নুনদাহ গ্রামে। সাঁথিয়া থানার ভিটেমাটি হারিয়ে দূর সম্পর্কের মামাতো ভাইয়ের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলো দাদী। রান্নাবান্না কাজের বিনিময়ে দাদী নাতির থাকা খাওয়ার উত্তম ব্যবস্থা হয়েছিলো।

আট বছর বয়সে প্রথম স্কুলে যায় সানাউল্লাহ। বাড়ির সেজো ছেলে তরিকুল ওকে স্কুলে ভর্ত্তি করে। শাহজাদপুর কলেজে বিএসসি পড়া তরিকুল ওর জীবনটাই বদলে দিয়েছিলো। দাদী বেঁচে থাকা পর্যন্ত ডোমবাড়িয়া অবৈতনিক স্কুলে ক্লাশ ফোর অব্দি উঠেছিলো সে।

তরিকুল কাকার চেহারা মনে করতে থাকে। রূপবান যাত্রার রহিমের মতো সুন্দর ছিলো কাকা। বিআরটিসি’তে মাস্টার রোলে চাকরী নিয়ে কাকা ঢাকা চলে যায়। তদ্দিনে সানাউল্লাহ প্রাইমারী পাশ দিয়েছে। বাড়ির কেউ ওকে হাইস্কুলে দিতে রাজি হয়নি। বরং গরু রাখতে বাঘাবাড়ির বাথানে পাঠিয়ে দেয়। দুমাস বাদে তরিকুল কাকা ওকে উদ্ধার করে।

সেই উনিশশ’ সাতাত্তর সাল। তরিকুল কাকার সাথে জীবনের প্রথম ঢাকা দর্শন। মুগদাপাড়ার মেসবাড়িতে কাজের ছেলের সাথে ঘুমোবার জায়গা করে দেয় কাকা। দুদিন পর সিরাজ মিস্ত্রীর কাছে তুলে দেয় সানাউল্লাহকে। সিরাজ মিস্ত্রী বিআরটিসি’র সরকারী বডিশপে কাজ করে।

সে আমলে আর্ক ওয়েল্ডিংএ ওস্তাদ লোক ছিলেন সিরাজ মিস্ত্রী। তাঁর ফায়ফরমাশ খেটেই সানাউল্লাহর ওয়েল্ডিং জীবন শুরু। দুবছরের মাথাতেই ওয়েল্ডিং টর্চ হাতে নেয় সানাউল্লাহ। ঝালাইয়ের কাজে পুরো হাত পাকিয়ে ফেলে ওর বয়স ষোলো পেরোবার আগেই।

সিরাজ মিস্ত্রী মানুষটা খুব বদরাগী। মুখের ভাষা ছিলো কাঁচা জামের মতো কস্টা। রসকস কিছু নাই। তবে মনটা বড় ভালো ছিলো। খুব স্নেহ করতো সানাউল্লাহকে। বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন চারজন ওয়েল্ডার চায় জেদ্দায় নির্মাণ কাজের জন্য। বিআরটিসি ছেড়ে তাঁর পুরো দল নিয়ে সিরাজ মিস্ত্রী চলে যায় সৌদি আরব।

বিরাশি সালে দেশে নতুন মার্শাল ল’। সামরিক আমলে দেশ ছাড়ে সানাউল্লাহ। সেই যে দেশ ছেড়েছে আর ফিরে যাওয়া হয়নি। নুনদহ গ্রাম, মঙ্গলবার আর শুক্রবার রতনকান্দি হাট, করতোয়ার শুশুক, মাছ ধরার খরা আর কিছুই এ জীবনে দেখা হলোনা।

এখনো ছাদে তাকিয়ে সানাউল্লাহ। নার্স দুবার এসে দেখে গেছে। ওস্তাদের তিতামুখের খিস্তিগুলো মনে করার চেষ্টা করে। এখন আর সেগুলো খারাপ মনে হয়না। নিজেইতো ইংরেজির ‘এফ’ ওয়ার্ড ছাড়া কথা বলতে পারেনা। নির্মাণ জগতটাই এমন! মুখে খিস্তি খেউর না করলে ফোরম্যান হওয়া যায়না। পর্তুগীজ লেবারগুলো গালি ছাড়া কথাই বলতে পারেনা।

সিরাজ মিস্ত্রী দাম্মামের কাছে একটি খনিতে কাজ পায়। স্কটিশ এক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে পরিচয় হয় জেদ্দায় কাজের সময়। সাদা চমড়ার ইঞ্জিনিয়ার ম্যালকম তখন চাকরি করে অয়েল টুলস নামের এক প্রতিষ্ঠানে। সানাউল্লাহর জীবনে শুরু হয় নতুন অধ্যায়। বাংলা ছেড়ে ইংরেজী যাত্রা। সানাউল্লাহকে সানি বানিয়েছিলো এই অয়েল টুলস কোম্পানী।

প্রথম বছর কাজ করেই অয়েল টুলসের বেস্ট ওয়েল্ডার খেতাব জুটে যায় কপালে। সিরাজ মিস্ত্রী সস্নেহে সে কপালে চুমু দেয়। “তুই খুব কপাইল্যা পোলারে সানা। জীবনে ম্যালাদূর যাবি।“ সিরাজ মিস্ত্রীর কথা ফলতে সময় লাগেনি। এক বছর বাদেই ম্যালাদূর যেতে হয়েছিলো সানাউল্লাহকে।

অয়েল টুলস এক মরুর দেশ থেকে সানিকে নিয়ে যায় অন্যমরুর দেশে। আমেরিকার টেক্সাস রাজ্যে। সেখানেও নাকি ম্যালা তেল!

অষ্টাশির হেমন্তে হিউস্টন এয়ারপোর্টে নামে সানাউল্লাহ। ইমিগ্রেশন সেরে ছোট্ট আরেকটি প্লেনে চেপে বসে। গন্তব্য টেক্সাসের ছোট খনি শহর মিডল্যান্ড।

মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাসে এবার একটু টান পড়ে! স্মৃতির পর্দার মাঝ বরাবর বজ্র স্ফুলিঙ্গ ঝলসে ওঠে। হঠাৎ ঘামতে শুরু করে সানাউল্লাহ। নাজনীনের সাথে প্রথম পরিচয় এখানে আসার পর।

নাজনীনরা থাকতো ওডেসায়। মিডল্যান্ডের বিশ মাইল পশ্চিমের শহর। স্বামী গোফরান কেএফসি’র সুপারভাইজার। আমেরিকা এসে বাঙালি খুঁজতে গিয়ে সন্ধান মেলে গোফরান ভাইয়ের। অতিথি পরায়ন গোফরানের বাড়িতে আনাগোনা শুরু হয় সানাউল্লাহর। ছুটির দিন হলেই চলে যেতো ওডেসা। গোফরান ভাই বাড়ি না থাকলেও যাতায়াত থামেনি সানাউল্লাহর। প্রৌঢ় বয়সি গোফরানের চেয়ে বন্ধু হিসাবে সানাউল্লাহকেই ভালো লাগে নাজনীনের। ভালো লাগাটা নাজনীনের এক তরফা হলেও ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে সানাউল্লাহ।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে নিজেকে নতুন করে দুর্বল মনে হয়। শিরশিরে ঠান্ডা অনুভূত হয় শরীরে। বুকের রক্ত ছলাৎ করে ওঠে। তলপেটের রক্তচাপ গড়ায় দেহের ভরকেন্দ্রের বাড়তি অঙ্গে। জীবনের প্রথম প্রেম! প্রথম চুম্বন! প্রথম শরীরের স্বাদ! এর পরিনাম এতো ভয়ঙ্কর হবে কে তা জানতো?

তিনশো তিরিশ কিলোমিটার পূবে ডালাস শহরের বাঙালি কমিউনিটিতে খবর পৌঁছে যায়। নাজনীন তোয়াক্কা করেনা। এটা বাংলাদেশ নয়। লোক জানাজানিতে কিসসু যায় আসেনা। গোফরান কান্নাকাটি করে। নাজনীনের পরিবারকে দিয়ে চাপ দেয়। উদ্বিগ্ন পরিবার টেক্সাসের পরিচিত সব বাঙালিকে দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকাবার চেষ্টা করে। নাজনীন মানেনি। ক্যারিবিয়ান এক উকিল ধরে ডিভোর্সের মামলা ঠুকে দেয়। রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পেয়ে সেদিন সন্ধে বেলায় বিয়ে হয় নাজনীন সানাউল্লাহর।

অয়েল টুলস ছেড়ে টোটাল এনার্জিতে চাকরি নেয় সানাউল্লাহ। বিরানব্বুইয়ে টোটালএনার্জির রিফাইনারি ডিভিশনে চাকরি নিয়ে পাড়ি জমায় কানাডার মন্ট্রিয়লে। কন্যা নাজিয়ার জন্ম এখানে।

নাজিয়া জন্মের পর দুবছর ভীষণ সুখে কাটে সানাউল্লাহর সংসার। মন্ট্রিয়লের এক গায়কের মোহন বাঁশিতে ভাঙ্গনের সুর ভেসে আসে হঠাৎ। প্রেমে পড়া নারী বারবার প্রেমে পড়ে! নতুন প্রেমে আরও রূপসী হয় নাজনীন। বাহ্যিক রূপের অন্তরালে গড়ে ওঠে রাক্ষুসী অন্তর। এক রাতে বাড়িতে হঠাৎ পুলিশের আগমন। দুহাতে সদর দরজা খোলার পর হাত এক করার সময় পায়নি সানাউল্লাহ। হাতকড়া লাগানো হয় নিমিষে!

এক মাস ডিটেনশনে থেকেও বাড়ি ঢোকার অনুমতি হয়নি সানাউল্লাহর। বন্ধুর দেয়া মুচলেকায় বন্ধুর বাড়িতেই অবস্থান করতে হয়েছিলো দুবছর। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত। কোর্টের নিষ্পত্তি শেষ পর্যন্ত নাজনীনের পক্ষে যায়। মেয়েকে কাছে রাখার অনুমতিও সে পেয়ে যায়। ঐ রাতে এক কাপড়ে কেবল ওয়ালেট পকেটে টরন্টো পাড়ি জমায় সানাউল্লাহ।

ডুকরে কেঁদে ওঠে সানাউল্লাহ। আর কিছু মনে না পড়াই ভালো। মেয়েটিকেও এদেশের সংস্কৃতি থেকে বাঁচাতে পারেনি। হিস্পানিক এক বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যানডিয়াগো শহরে থাকে। নাজনীন নাকি ওদের সাথেই থাকে।

সকালের আলো ফুটছে শহরতলীতে। খানিক বাদেই নিভে যাবে রাস্তার সোডিয়াম বাতি। ব্যস্ত হবে সাবওয়ে ট্রেন। সাহেবদের আনাগোনায় রাতের ভুতুড়ে নগরী হবে ব্যস্ত কর্পোরেট বাজার। সানাউল্লাহ ডান দিকে ঘুরে কাত হবার চেষ্টা করে। জীবনের ডান বাম ওর কাছে সমান। দুপাশের কোনদিকেই কেউ নেই। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় দূরে। নার্স আসছে। আবার চলে যাবে। ওর তপ্ত জীবনে মানুষের আসা যাওয়াটা এমনই।

- Advertisement -

Read More

Recent