মঙ্গলবার - এপ্রিল ২৩ - ২০২৪

হাইতিতে কানাডার সামরিক হস্তক্ষেপ নয়

সব রাজনৈতিক দল সম্মতি না হলে কানাডার সেনাবাহিনী সেখানে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

গোলোযোগপূর্ণ হাইতির সব রাজনৈতিক দল সম্মতি না হলে কানাডার সেনাবাহিনী সেখানে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিউনিশিয়ায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক ফ্রাঙ্কোফোনি সম্মেলনে হাইতির ওপর আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

হাইতির স্থিতিশীলতায় ১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছেন ট্রুডো। কলেরার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির মধ্যেই গ্যাংগুলো সেখানে জ¦ালানি ও গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পেতে বাধা সৃষ্টি করছে। ঘোষিত এই অর্থের অর্ধেক যাবে মানবিক সহায়তায়। বাকি অর্থের মধ্যে কিছু ব্যয় হবে দুর্নীতি নির্মুল ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিচারে। তবে গ্যাংদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সামরিক হস্তক্ষেপ চেয়েছে হাইতির সরকার। এ ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপের ব্যাপারে কানাডা সবচেয়ে আদর্শ বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

- Advertisement -

জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ক্যারিবীয় সরকারগুলোর সংগঠন ক্যারিকোমের সঙ্গে কানাডা কাজ করছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কীভাবে তাদের সহায়তা করতে পারে সে ব্যাপারে হাইতির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে মতৈক্য পৌঁছে দিতে কাজ চলছে। হাইতির সরকার এজন্য যথেষ্ট নয়। আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের আগে হাইতির সব রাজনৈতিক দলের মতৈক্য প্রয়োজন।

তবে হাইতিতে কানাডার সেনাবাহিনীর মিশনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য কানাডা তৈরি। তবে সেজন্য হেইশিয়ানদের মতৈক্য দরকার আমাদের।

কী হচ্ছে এবং কি ধরনের সহায়তা প্রয়োজন তা দেখতে হাইতিতে যাওয়া গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার দলটি এরই মধ্যে ফিরে এসেছে। ফিরে আসার পর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও তারা দিয়েছে বলে জানান ট্রুডো। তিনি বলেন, মৌলিক একটি সমস্যা হাইতিকে সব সময়ই মোকাবিলা করতে হয়। তা হলো সেখানকার সমাজের কিছু এলিট ও ওলিগার্করা রাজনৈতিক প্রভাব ও মানবিক সংকটকে ব্যবহার করে হাইতির লোকজনের কাঁধে চেপে নিজেদের সম্পদ বাড়ানোয় লিপ্ত থাকে। এ কারণেই একটিমাত্র দল বা সরকার কি চাইলো সেটা দেখা এখন আমাদের উদ্দেশ্য নয়। একটা পর্যায় পর্যন্ত ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই আমরা তার পেছনে যেতে পারি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব দিতে পারি।

কানাডা হাইতির রাজনৈতিক এলিটদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আওতা বাড়িয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় শনিবার আরও তিনটি নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কানাডায় যাদের সম্পদ জব্দ করা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, হাইতির সংহিসতা থেকে যারা ফায়দা তুলছে তাদেরকে লক্ষ্য করেই এই নিষেধাজ্ঞা। সহিংতা থেকে যারা মুনাফা করছে, যারা দুর্নীতিগ্রস্থ একটি ব্যবস্থার অংশ তাদেরকে জবাদিহিতার মুখোমুখি করাই আমাদের উদ্দেশ্য। আন্তর্জাতিক অংশীদারকেও এতে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান জোলি।

- Advertisement -

Read More

Recent