বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য ফিফার কাছ থেকে ১ কোটি ৫ লাখ ডলার পাচ্ছে কানাডার পুরুষ ফুটবল দল। ফিফা র্যাংকিংয়ে ৪১তম কানাডার প্রথম ম্যাচ ছিল র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে এবং ১-০ গোলে হেরে যায় তারা। রোববার ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৪-১ গোলে নকআউট পর্বে ওঠার আগেই বাদ পড়ে গেছে কানাডা। বৃহস্পতিবার র্যাংকিংয়ে ২২তম স্থানে থাকা মরক্কোর সঙ্গে শেষ ম্যাচ খেলে দেশের পথে পাড়ি দেবে তারা।
কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২টি দলের মোট প্রাইজমানি ৪৪ কোটি মার্কিন ডলার। কানাডার মতো যেসব দল গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়েছে অর্থাৎ ১৭ থেকে ৩২তম দলগুলোর প্রত্যেকেই প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া প্রস্তুতির খরচ বাবদ টুর্নামেন্টের আগেই প্রত্যেক দলকে দেওয়া হয়েছে ১৫ লাখ ডলার করে।
কানাডা ফুটবল দলের বার্ষিক পরিচালন ব্যয় ৩ কোটি কানাডিয়ান ডলার। প্রাইজমানির কি পরিমাণ অর্থ খেলোয়াড়রা পাবেন তা নির্ভর করছে মেন’স প্লেয়ারস অ্যাসোসিয়েশন ও কানাডা সকারের মধ্যে দরকষাকষির ওপর। উভয় পক্ষই বলেছে, নারী দলের সমান অর্থই তারা পাবেন। ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে কানাডা।
কাতার বিশ্বকাপে বিজয়ী দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৪ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। রানারআপ দল পাবে ৩ কোটি ডলার। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারকারী দল পাবে যথাক্রমে ২ কোটি ৭০ লাখ ও ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার করে। পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থানে থাকা দলগুলো প্রত্যেকেই পাবে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার করে। আর ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার করে পাবে নবম থেকে ১৬তম স্থানে থাকা দলগুলো।
২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে মোট প্রাইজমানি ছিল ৪০ কোটি মার্কিন ডলার, যা ব্রাজিল বিশ্বকাপের চেয়ে বেশি। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ব্রাজিল বিশ্বকাপে প্রাইজমানি ছিল মোট ৩৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপ দলের সদস্য জেমি লোয়ারি বলেন, ওই আসরে তিনটি ম্যাচের প্রত্যেকটিতে তিনি ১ হাজার কানাডিয়ান ডলার করে পেয়েছিলেন।
২০১৯ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত নারী ফুটবল বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ছিল ৩ কোটি ডলার এবং বিজয়ী মার্কিন নারী ফুটবল দল পেয়েছিল ৪০ লাখ ডলার। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় নারী বিশ^কাপে প্রাইজমানি দ্বিগুন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ওই বিশ্বকাপে ২৪টির বদলে ৩২টি দল অংশ নেবে।