শুক্রবার - মার্চ ২৯ - ২০২৪

তিউনিশিয়ায় ফ্রেঞ্চভাষী সম্মেলনে ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার সংক্ষিপ্ত আফ্রিকা সফর ১৮ নভেম্বর শুরু করেছেন। গণতান্ত্রিক ও কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে উপমহাদেশটিতে ক্ষমতার যে লড়াই তারই অংশ এই সফর।

- Advertisement -

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি তিউনিশিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, বাস্তবতা হলো প্রভাব নিয়ে একটা লড়াই রয়েছে এবং সারা বিশে^ই সেটা ঘটছে। সেক্ষেত্রে আফ্রিকা নিঃসন্দেহে একটি যুদ্ধক্ষেত্র। আমাদের এখানে উপস্থিত হওয়া জরুরি এবং এতে সম্পৃক্ত হওয়া সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। কারণ, চীন এবং রামিয়া নিশ্চিতভাবেই তাদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে।

ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন অব দ্য ফ্রাঙ্কোফোনির সম্মেলনের মাঝামাঝি পর্যায়ে এই মন্তব্য করেন জোলি। সম্মেলনে ফ্রেঞ্চভাষী দেশগুলোর নেতারা যোগ দিয়েছেন। আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে, হাইতির বিশৃঙ্খলা, উড়ন্ত খাদ্যমূল্য, সরকারগুলোর প্রতি জনগণের অবিশ^াস এবং ডিজিটাল যুগে ভাষার ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ।

কমনওয়েলথের মতো ফ্রাঙ্কোফোনিও মানবাধিকার থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও ফ্রেঞ্চ ভাষার আন্তর্জাতিক ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করে থাকে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বাতিল হওয়ার পর এবারের সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমন সময় সম্মেলন্িট হচ্ছে যখন রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ আফ্রিকাজুড়ে খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ওইসব এলাকায় ফ্রেঞ্চভাষী মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।

উত্তর আফ্রিকায় বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ, সেখানে খাদ্যের দাম উদ্বেগগুলোর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে। এ ধরনের ক্ষোভই ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আরব বসন্ত ডেকে আনে।

জোলি বলেন, রাশিয়ার অবৈধ ইউক্রেন আক্রমণ সারা বিশে^র খাদ্যের সংকট ডেকে এনেছে। বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলো এর শিকার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। সুতরাং আমরা এর সমাধান চাই।

আরব বসন্তের বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তিউনিশিয়ায়। বিক্ষোভের ফলে তখনকার প্রেসিডেন্ট জয়নেল আাবেদিন বেল আলি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

- Advertisement -

Read More

Recent