শুক্রবার - এপ্রিল ১৯ - ২০২৪

অটোয়ার অনুমতি পায়নি আফ্রিকার ৮০-৯০% শিক্ষার্থী

গাস্প জুনিয়র কলেজ

কুইবেকের কিছু জুনিয়র কলেজ আফ্রিকার যেসব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে গ্রহণ করেছে তাদের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশকে পড়াশোনার অনুমতি দেয়নি ফেডারেল সরকার। এর ফলে অভিবাসন পদ্ধতিতে পক্ষপাত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পূর্ব কুইবেকের সিইজিইপি ডে লা গাসপেসি এট ডেস লেসের মহাব্যবস্থাপকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তারা ১৯ জন আফ্রিকান শিক্ষার্থীকে গ্রহণ করলেও তাদের মধ্যে মাত্র দুইজন এখানে পড়ালেখার অনুমতি পেয়েছেন। কলেজ ডি’আলমার ১৩৯ জন আফ্রিকান শিক্ষার্থীর মধ্যে অনুমতি পেয়েছেন ২০ জন। যদিও ফ্রান্স থেকে আবেদন করা প্রত্যেকেই অনুমতি পেয়েছে বলে উভয় কলেজের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

- Advertisement -

গাস্প জুনিয়র কলেজের ব্যবস্থাপক ইয়োলেইন আরসেনো বলেন, আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের ৮৯ শতাংশ আবেদন বাতিল হয়েছে। আমাদের কাছে সংখ্যাটা অনেক বড় মনে হচ্ছে। কলেজের জন্য এটা হতাশার।

আলমা কলেজের কমিউনিকেশনের প্রধান ফ্রেডেরিক ট্রেম্বলে বলেন, ফেডারেল সরকার ও প্রদেশের মধ্যে একটা বৈপরীত্ব দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে বৃহত্তর মন্ট্রিয়লের বাইরের অঞ্চলে। এই অঞ্চলগুলোতে বয়স্ক মানুষ বেড়ে গেছে এবং শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের আবেদন বাতিল হওয়ার প্রধান কারণ পড়ালেখা শেষ করে করে তারা ফিরে যাবেন বলে কর্তৃপক্ষের বিশ^াস হয়নি। যদিও প্রদেশ তাদেরকে রেখে দেওয়ার আশা করছে। ফ্রেঞ্চভাষী শিক্ষার্থী পাওয়া কুইবেকের জন্য বাড়তি সুবিধা এবং তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এখানকার শ্রমশক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারি। পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য না থাকাকেও আবেদন বাতিলের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। যদিও তাদেরকে পূর্ণ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

সিইজিইপির আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত পরিচালক ফ্রাসোয়াঁ ব্রাউন মাস্ট্রোপাউলো বলেন, আফ্রিকা থেকে আবেদনকারী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যান নতুন কিছু নয়। শিক্ষার সব স্তরে এবং সব প্রদেশেই এটা আছে। তবে এজন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কুইবেকের জুনিয়র কলেজগুলো ও তাদের সম্ভাব্য শিক্ষার্থীরা। আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন। আলজেরিয়া ও কঙ্গোর মতো ফ্রেঞ্চ ভাষাভাষী দেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার সবচেয়ে বেশি। তবে উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার তুলনামূলক কম। অর্থাৎ, মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার হার কলেজ শিক্ষার্থীদের তুলনায় কম।

সার্বিকভাবে ফ্রেঞ্চ ভাষাভাষী আফ্রিকান দেশগুলো থেকে জুনিয়র কলেজে আবেদনকারীদের ৮০ শতাংশের আবেদনই প্রত্যাখ্যান করেছে ফেডারেল সরকার। এর বিপরীতে ভারতের ৩০ থেকে ৩৫ এবং চীনের ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

- Advertisement -

Read More

Recent