বৃহস্পতিবার - এপ্রিল ২৫ - ২০২৪

এবার নাম নিয়ে প্রশ্নের মুখে জ্যোতিকা জ্যোতি

অভিনয় জগতে তিনি পরিচিত জ্যোতিকা জ্যোতি নামে। উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, তার পুরো নাম জ্যোতিকা পাল জ্যোতি। সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে এই নাম নিয়েই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন জ্যোতিকা। আসলে কী তার নাম, এ নামের অর্থই বা কী?

- Advertisement -

সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘জ্যোতিকা শব্দের আক্ষরিক অর্থ ঠিক নেই। তবে জ্যোতি শব্দের অর্থ আলো। আমার নাম আসলে জ্যোতিকা। আমার দাদি রেখেছিল এই নাম। জ্যোতিকা বলতে আলোকিত বোঝায়।’

অভিনয়ে আসার পর অনেককেই নাম বদলের প্রস্তাবের মুখে পড়তে হয়। তার কাছেও কি এমন প্রস্তাব এসেছিল? জ্যোতি বলেন, ‘না, এমন কোনো প্রস্তাব আসেনি। আসলে ‘লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক’ যখন হয়েছিলাম, তখন তারা জ্যোতিকা পাল জ্যোতিই লিখেছিল। তারপর অনেকেই ছোট করে কেউ জ্যোতিকা, কেউ জ্যোতি লিখতো।’

অভিনেত্রী জানান, এখন সবাই জ্যোতিকা জ্যোতি বলে ডাকেন। তিনি বলেন, ‘আমার আসল নাম জ্যোতিকা। তবে হ্যাঁ, যখন আমি একটা বাণিজ্যিক ছবি করেছিলাম, তখন পরিচালক একবার বলেছিলেন নাম পরিবর্তন করতে। কিন্তু আমি রাজি হইনি। কারণ, যে নাম সার্টিফিকেটে, সেটাকে পরিবর্তনের পক্ষপাতী আমি নই।’

জ্যোতি জানান, তিনি প্রায় ১২ বছর অভিনয়ে রয়েছেন। পড়াশোনা করতে করতেই ‘বহুরূপী’ নাটকে তিনি যুক্ত হন। যদিও থিয়েটারে নিয়মিত কাজ করার সময় পাননি। সিনেমায় আসার পর বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে ‘নন্দিত নরক’-এ অভিনয়ের জন্য বহু মানুষের প্রশংসা পেয়েছেন।

এছাড়া ‘অনিল বাগচীর একদিন’ ছবিটিও একাধিক বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। জ্যোতি জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিনি সবসময় বেছে বেছে কাজ করার সুযোগ পাননি। অনেক চরিত্র পছন্দ না হওয়া সত্ত্বেও তিনি করেছেন। তবে সিনেমার ক্ষেত্রে তিনি বরাবরই বেছে কাজ করার চেষ্টা করেন।

অভিনেত্রীর কথায়, ‘একসময় আমার কাছেও প্রচুর বাণিজ্যিক ছবির প্রস্তাব এসেছে। তবে আমি বেছে বেছে কাজ করেছি। বিশেষ করে ২০০৭-২০০৮ সালে বাংলাদেশের সিনেমায় বিশেষ রুচি সম্মত কাজ হচ্ছিল না। সে কারণে অনেক সময়ই আমি ভালো ছবির প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করেছি। তখন নিয়মিত নাটকে কাজ করেছি।’

জ্যোতি জানান, সেখানেও এমন অনেক গল্প পছন্দ হয়নি। তবু অনেক সিনিয়ার পরিচালক বলেছেন বলে কাজ করেছেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘তবে সিনেমা বিষয়টা ভিন্ন। সেখানে মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো কাজ করতে চাই না। এ ধরনের কাজ করতে গেলে হয়তো মেজাজটাই খারাপ হয়ে যাবে। তাই মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার থেকে কাজ না করা ভালো।’

২০০৪ সালে ‘লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক’ প্রতিযোগিতায় সেরা ১০-এ স্থান করেন জ্যোতিকা জ্যোতি। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বিজ্ঞাপন ও নাটক দিয়ে শোবিজ অঙ্গণে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন জ্যোতি। ২০০৫ সালে ‘আয়না’ ছবির মাধ্যমে পা রাখেন চলচ্চিত্রে। সূত্র : ঢাকাটাইমস

- Advertisement -

Read More

Recent