শামসুর রাহমাননের একটি কবিতার নাম,
‘একজন বৃদ্ধের কথা’। শুরুটা ছিল এরকম;
একজন বুড়ো সুড়ো লোক বারান্দায় বসে দেখছেন বিকেলের স্তব্ধ রোদ ঈষৎ কাঁপিয়ে এক বেগুনি রঙের পাখি নিয়েছে বিনম্র ঠাঁই গাছের শাখায়।
নির্মলেন্দু গুণের একটি কবিতার বইয়ের নাম;
‘না প্রেমিক না বিপ্লবী”। উৎসর্গ পাতায় লিখেছিলেন, ‘তুমি যেখানে স্পর্শ রাখো সেখানেই আমার শরীর’।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বইয়ের নাম ‘নীরা, হারিয়ে যেওনা”।
বলছি হয়তো বৃষ্টি আসবে। তখন চোখের পাতায় পড়ে যদি দু’চার ফোটা কাতরতা। পৃথক করে রেখো –
দৃষ্টি কৃষ্টি আর বৃষ্টি। যদি ঝড় এসে তুলে নেয় আঁচল
মনে রেখো আমিও ততোটুকু নরম ছিলাম তবু্ও লজ্জা পেতে বারান্দার দেয়ালে হেলান দিয়ে। হয়তো তখন থাকবে মাঘ অঘ্রাণ, কি আশ্চর্য একদা শীত সুড়ঙ্গে আমিও ভেসে আসতাম পাখির পালকের মতো।
মনে করো যুদ্ধটা এখনো চলছে। পৃথক হতে হতে দুই ভুবনের দুই মানচিত্র আমরা। তোমার মাঝে আমার উপস্থিতি বহিরাগত। যেমন একসময় রাশিয়া ইউক্রেন এক দেশ ছিলো। এখন ঈশ্বরের কাছে ওদের একটাই প্রার্থনা, কোন সকালে জানালা খুলে উড়ুক পাখি দেখবে ওরা। আমারও খুব সখ হয় ঈশ্বরের সাথে কথা বলি কানে কানে। তাকে জিজ্ঞেস করি, হলুদ পাখি কাকে বলে? যদি তিনি উত্তর দিতে না চান তবে আরেকটি প্রশ্ন করবো। বেগুনি রঙের জীবন কেন দিলে। ফিফটি ফিফটি উত্তর এলেও বুঝতে পারবো কিছু বই৷ কিছু কবিতা এবং আমি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
স্কারবোরো, কানাডা