অন্টারিওতে করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লোকের সংখ্যা পাঁচ মাসে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে এবং বেশিরভাগ জনস্বাস্থ্য সূচক এখন মহামারীটির আরও খারাপ দিকে ইঙ্গিত করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য থেকে জানা যায় যে বুধবার পর্যন্ত ১৬২৯ জন লোক করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, যা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেশি।
এটি ৪ মে থেকে ভাইরাসের কারণে হাসপাতালে একযোগে আসা সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক।
আইসিইউতে চিকিৎসা করা কোভিড রোগীদের সংখ্যাও গত সপ্তাহে একই রকম লাফিয়ে ১৩১ থেকে ১৪৩-এ পৌঁছেছে।
গত সাত দিনে ১৪.৯ শতাংশ পরীক্ষা পজিটিভ এসেছে, যা আগের সপ্তাহের ১৩.৬ শতাংশ এবং দুই সপ্তাহ আগে ১২.৪ শতাংশ ছিল।
“আমরা অন্টারিওতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিডের বৃদ্ধি এবং ঝুঁকি দেখতে পাচ্ছি। হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই আমাদের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। সুতরাং কোভিড থেকে আমরা অচিরাৎ মুক্তি পাচ্ছি না, এটি একটি শক্তিশালী শত্রু,” বৃহস্পতিবার বলেন প্রধান মেডিকেল অফিসার ডাঃ কিয়েরান মুর বলেন।
ওয়েস্ট ওয়াটার সার্ভেইলেন্স সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অন্টারিওর বেশিরভাগ অংশে ভাইরাল মাত্রার বৃদ্ধি দেখাচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে যে গত সাত দিনে পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ৯,৪০৮ টি নতুন কোভিড কেস শনাক্ত করা হয়েছে, যা টানা পঞ্চম সপ্তাহের মধ্যে এই সংখ্যার বৃদ্ধি নির্দেশ করছে। পিসিআর পরীক্ষায় ব্যাপকহারে প্রাদুর্ভাবের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বুধবার পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদী কেয়ার হোমে মোট ১৭৯টি সক্রিয় এবং রিটায়ারমেন্ট হোমে ১৬০টি সক্রিয় প্রাদুর্ভাব ছিল, যা গত সপ্তাহের একই সময় পর্যন্ত ১৫৯ এবং ১৪৪টির তুলনায় অনেক বেশি।
মুর আরো জানান যে এবারেটি একটি জটিল এবং কঠিন শীত হতে পারে এবং অন্টারিওবাসীদের তাদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে আপ টু ডেট আছেন কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানান।
“ইনডোর হবার সাথে সাথে আমাদের অন্টারিওবাসীকে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের সকলকে সুরক্ষার সেই সমস্ত স্তরগুলি বজায় রাখতে হবে তবে সবচেয়ে মৌলিকগুলির মধ্যে একটি হল বুস্টার ডোজ গ্রহণ করা,” তিনি বলেন। আরো জানান যে, এই ভ্যাকসিনগুলি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং একটি ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের ভিতর ঝুঁকি হ্রাস করবে।
মন্ত্রণালয় তরফ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ এর তালিকায় গড়ে আরও ৪৮ জন নতুন করে মৃত্যুবরণ করেছে। শুরু হবার হওয়ার পর থেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট ১৪,৪৭৫ জন অন্টারিয়ান মারা গেছে।
This article was written by Rezaul Haque as part of the LJI
করোনার প্রকোপ বাড়ছেই
- Advertisement -