বৃহস্পতিবার - এপ্রিল ২৫ - ২০২৪

অন্টারিওর ২.১ বিলিয়ন ডলার উদ্বুত্ত

অন্টারিও প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড

২ দশমিক ১ বিলিয়ন উদ্বৃত্ত নিয়ে গত অর্থবছর শেষ করেছে অন্টারিও। যদিও বাজেটে ৩৩ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছিল। তবে মূল্যস্ফীতি ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে এই উদ্বৃত্ত সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
২০২১ সালের বাজেটের প্রাক্কলনের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি রাজস্ব এসেছে। উদ্বৃত্তের পেছনে এটা একটা কারণ। এ রাজস্বের বড় অংশ এসেছে কর থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধি।
অর্থমন্ত্রী পিটার বেথলেনফালভি অবশ্য বলেছেন, ২০২১-২২ ছিল অস্বাভাবিক একটি বছর। আমরা যখন ২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তুত করছিলাম তখন বিশ্বের অনেক স্থানই অনিশ্চয়তা মোকাবেলা করছিল। অর্থনৈতিক প্রভাব চিল অনিশ্চিত। আগের অর্থবছরে মহামারি অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব ফেলেছে সে সম্পর্কে পরিস্কার চিত্রটি আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। কর্মসংস্থান বেড়েছে, ভোক্তা ব্যয় ছিল শক্তিশালী, ব্যবসার মুনাফাও ভালো ছিল। নমিনাল জিডিপি প্রবৃদ্ধি চিল ১১ দশমিক ৯ শতাংশ, ১৯৮০ এর দশকের পর যা সবচেয়ে শক্তিশালী।
তবে গত বছরের উদ্বৃত্ত চলতি বছরের ইঙ্গিতবাহী নয়। তবে আশাবাদী হওয়াই যায়। বেথলেনফালভি বলেন, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা, জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির মধ্যেও এই উদ্বৃত্ত স্বল্প মেয়াদে অন্টারিওর আর্থিক অবস্থাকে শক্তিশালী করবে।
অন্টারিওর নিট ঋণ কমাতে ভ‚মিকা রাখবে এই উদ্বৃত্ত। বর্তমানে অন্টারিওর ঋণের পরিমাণ ৩৮৯ বিলিয়ন ডলার। এদিকে সরকার টিউটরিং সহায়তা হিসেবে বাবা-মাকে দেওয়া সরাসরি অর্থের পরিমাণ ২২ কোটি ৫০ লাখ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কীভাবে কর্মসূচিটি পরিচালিত হবে সে ব্যাপারে এখনো খোলাসা করেনি সরকার।
মার্চে শেষ হওয়া সমাপ্ত অর্থবছরে সরকারের প্রকৃত ব্যয় বাজেট পরিকল্পনার চেয়ে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার কম হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষায় কম ব্যয় হয়েছে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। সময়বদ্ধ কোভিড-১৯ সহায়তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
তবে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় পরিকল্পনার চেয়ে বেশি হয়েছে। কারণ, কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও ভ্যাকসিনেশন কৌশল বাস্তবায়নে হাসপাতাল ও লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোতে বড় অংকের অর্থ দিতে হয়েছে। গত বছর অন্টারিও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করেছে ৭৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় যা ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বেশি। এর মধ্যে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে কোভিড-১৯ পরীক্ষা ও ভ্যাকসিনেশনে। আরও ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে হাসপাতালে, ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ব্যবহারে এবং ৯০ কোটি ডলার কর্মী ধরে রাখতে রিটেনশন বোনাস হিসেবে।
This article was written by Rezaul Haque as part of the LJI

- Advertisement -

Read More

Recent