জগতে কিছু মানুষের কাজই হচ্ছে শয়তানকে তৃপ্ত করা। এমন না যে, এরা স্রষ্টায় অবিশ্বাসী, বরং সকলের সামনে বিশ্বাসীর লেবাস পরে ঘুরে বেড়ানো, মাঝে মধ্যে কোরআন-হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে নিজে যে কত বড় জ্ঞানী তার প্রমান রাখা, এমনকি ধর্মের নামে রাজনৈতিক দল করা বা রাজনীতি করার মতো বিশাল বিশাল কাজও এরা করে থাকে। এসব যে লোক দেখানো, তাতে কোন সন্দেহ পোষণ করা চলে না। তো যেইমাত্র শয়তানকে তৃপ্ত করার প্রশ্ন আসে, তখন তাদের কোন হুস থাকে না। গোলাম আযম ছিল তেমন এক নরাধম, আমাদের চারপাশে খুঁজলে এরকম অনেক নরাধমের খোঁজ পাওয়া বিচিত্র কিছু না। এদের কর্মে স্বয়ং শয়তানও লজ্জা-শরমে মরে যেতে চায় বলে আমার ধারণা। কিন্তু, শয়তান বলে কথা! চাইলেই মরতে পারে না, কারণ, তাকে দেয়া স্রষ্টা প্রতিশ্রুতির কারনে সে কেয়ামত পর্যন্ত আয়ুপ্রাপ্ত। তো আদমজাত যারা শয়তানকে তৃপ্ত করার নেশায় মগ্ন তাদের আয়ু তো একশ বছরও না। তারপরও এত অহংকার কোত্থেকে আসে, মাথায় ঢোকে না। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান এদেরকে জন্তুবিলিশ বলে অবিহিত করেছিলেন এক লেখায়। জন্তু ইবলিশের মতো শয়তান হয়ে গেলে যা হবে তা বুঝাতেই শওকত ওসমান এমনটা করেছিলেন, এটা আমার অনুমান। কিন্তু, এতে করে যে নিরীহ জন্তুদের অপমান করা হয়, সেটা হয়তো তিনি ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারেননি।
(গতকাল শওকত ওসমানের প্রয়ানদিবসে তাঁকে খুব মনে পড়ছিল)
ক্যালগেরি, আলবার্টা