বৃহস্পতিবার - মার্চ ২৮ - ২০২৪

মিথের জয়জয়কার

মানুষ প্রকৃতি থেকে কতকিছু আবিষ্কার করে, এর কিছু যদিও-বা প্রত্যক্ষজাত, তবে বেশিরভাগই অপ্রত্যক্ষজাত, যার আবার সিংহভাগ কল্পিত। চারিদিকে কল্পিত-বাস্তবতা তথা মিথের জয়জয়কার। আর সেটা স্মরণ করিয়ে দিলে মিথের ভক্তদের সেকি রাগ। হ্যাঁ রাগ। রাগ মানে বেসুর কিছু না আসলে। সেখানেও আছে সংগীতের উপস্থিতি, সেজন্য খুব মনোযোগ দিয়ে রাগ শুনতে হয়। প্রকৃতি থেকে আহরিত বিস্ময়কর জিনিষটাই বোধকরি সংগীত। আমাদের চারপাশে সারাক্ষণ যে অসংখ্য সৃষ্টি হয়ে চলেছে, তা কি সংগীত ছাড়া সম্ভবপর হতো, না তাতে স্রষ্টার কোন সায় থাকতো।
ইউরোপিয়ানরা আর সকলকিছুর মতো শিল্প-সাহিত্য থেকে ইশ্বরকে বিদায় দিতে গিয়ে তাকে নিষ্প্রাণ করে দিয়েছে― রবীন্দ্রনাথের এমন অভিযোগের পক্ষে-বিপক্ষে ঝড় বয়ে গিয়েছিল, সেটাও শতাব্দি আগে। তারপর ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে…’ ইউরোপের না হোক উত্তর আমেরিকার চমৎকার শহর ক্যালগারিতে শিল্প-সাহিত্যের প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথকে হাজির করছে এই শহরে আমার কিছু প্রিয় মানুষ। তীর্থ সাহার কণ্ঠে যারা রবীন্দ্রসংগীত শোনেনি, তাদের জন্য দুঃখ হয়, ওর গলা ইশ্বরের পক্ষপাতে অনবদ্য। সাথে যুক্ত হয়েছে ছায়ানটের রীতা কর্মকার। সাথে একঝাঁক বাদ্যযন্ত্রী এবং সকলকে অবাক করে দিয়ে পিয়ানো যুক্ত হয়ে আয়োজনে।
খায়ের খন্দকার রুবেল একটা চিজ বটে। আয়োজনে কোন খুঁত থাক, এটা রুবেলের সাথে যায় না। কীভাবে যে এতকিছু আয়োজন করে হালকা-পাতলা গড়নের এই মানুষটা, মাথায় ঢোকে না। তা না ঢুকুক, আজ সন্ধ্যায় আমরা তো রুবেলের চাঁদ মুখ দেখতে যাচ্ছি না। যাচ্ছি রীতা ও তীর্থের গলায় মুগ্ধ হয়ে থাকার জন্য।

- Advertisement -

ক্যালগেরি, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent