বৃহস্পতিবার - এপ্রিল ১৮ - ২০২৪

স্পেশাল অপারেশনের চাপে


রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিভ থেকে সৈন্য সরিয়ে নিচ্ছে। তাহলে কি রাশিয়া এই যুদ্ধে হেরে গেলো? আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে রাশিয়া হয়ত কিভ দখল করতে ব্যর্থ হয়ে সরে যাচ্ছে। রাশিয়া যত সহজে কিভ দখলে নিবে ভেবেছিল কার্যত তা তত সহজ ছিল না। তাই তারা না পেরে নিজেদেরকে গুটিয়ে নিচ্ছে, এমন সব প্রচারণা পশ্চিমা মিডিয়ার বরাবরই ছিল এবং এখনো আছে।
কিন্তু রাশিয়া কখনই বলেনি তারা ইউক্রেন দখল করবে বা দখল করার কোন ইচ্ছা তাদের আছে। তারা সব সময় বলে আসছে, এটি একটি স্পেশাল অপরেশন আর এই অপরেশন তার লক্ষ্যে না পৌছা পর্যন্ত চলতে থাকবে।
এই স্পেশাল অভিযানের লক্ষ্য ছিল, ইউক্রেনের সমর শক্তিকে ক্ষর্ব করে দেওয়া। তার মিলিটারী বেজ গুলিকে ধ্বংস করে দেওয়া। সেই লক্ষ্য তারা অনেকটাই অর্জন করেছে। এই অভিযানের আরেকটি মূল লক্ষ্য ছিল, ইউক্রেনকে ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা। কেউ যাতে ইউক্রেনকে ঘাটি হিসাবে ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করা।
জেলেনস্কি সরকার এই স্পেশাল অপারেশনের চাপে পড়ে রাশিয়ার এই সব দাবী মানতে বাধ্য হয়েছে এবং একটি সম্মানজনক সমাধানে উপনীত হতে রাজী হয়েছে। বিনিময়ে তিনি তার দেশের নিরাপত্তার গ্যারান্টি চেয়েছে এবং পশ্চিমা চারটি দেশকে এই নিরাপত্তার গ্যারান্টার হিসাবে রাখতে চাচ্ছে।
রাশিয়া ইউক্রেনে তার যে অভিযান পরিচালনা করেছে তাতে দেশটি তার অত্যাধুনিক সমরাস্রের তেমন কিছুই ব্যবহার করে নি। এতেই তো ধারণা করা সম্ভব, তারা ইউক্রেন দখন নয় বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে ইউক্রেনকে কিছু দাবী মানতে বাধ্য করাই হচ্ছে তাদের মূল উদ্দেশ্য।
এই অভিযানের আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বকে জানান দেওয়া যে তারা শেষ হয়ে যায়নি। তারা এখনো আগের মতই পরাক্রমশালী এবং তাদের কথা না শুনলে পরিনতি ভয়াবহ হতে পারে।
এই স্পেশাল অভিযানের ফলে সেই লক্ষ্যগুলি প্রায় অর্জিত হয়েছে।
এখন শুধু একটি সম্মানজনক সমঝোতায় উপনীত হতে পারলে এই অভিযান তার অবশিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে।

স্কারবোরো, অন্টারিও, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent