২৬ মার্চ, আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ঘোষণা দিয়ে যে কয়েকটি দেশ স্বাধীন হতে পেরেছে, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে প্রধানতম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সেই তালিকায় আছে। দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে ক্রমশ নিজ হয়ে ওঠা ক্যালগারি শহরে আমরা আমাদের স্বাধীনতার দিনটিকে স্মরণ করি, নানাভাবে ব্যস্ত থাকি। বেশ কয়েকবছরধরে সিটি হলে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হচ্ছে, এবারও হলো, তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে যে, এই শহরে চলতে থাকা ফ্রিডম মুভমেন্ট, যার কারণে বাঙালির সমবেত হওয়াটা সম্ভবপর হলো না। পুলিশ ওই ফ্রিডমপার্টির লোকদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, বাঙালিকে দেখে তারা যে মারতে আসবে না, কে বলতে পারে? তো, আমাদের বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের ভাগ্য গেল খুলে। ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ তাদের পতাকা উত্তোলন শোভাযাত্রাকে নিয়ে হাজির হলো বাংলাদেশ সেন্টারে। আমরা যথারীতি আমাদের লাল-সবুজকে গায়ে মেখে হাজির হলাম সেখানে। ঘড়িতে তখন বিকাল ৪ টা। কিছুক্ষণ পরে আলবার্টা প্রদেশের কয়েকজন মন্ত্রীও হাজির। একজন তো আদিবাসী, পতাকা উত্তোলন হয়ে যাওয়ার পরে হলের ভেতরের আলোচনা সভায় তিনি বললেন তাঁর গভীর প্রত্যয়ের কথা― বিশ্বের প্রতিটি জাতির মুক্তির পথে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি উদাহরণ হয়ে আছে।
শুনে কার না ভালো লাগবে? আমাদেরও লেগেছিল। প্রাণবন্ত এই অনুষ্ঠানটি আমরা মনে রাখবো বহুদিন। আর এই ফাঁকে রথ দেখার সময় কলা বেচার মতো আমি আমার সদ্য প্রকাশিত ‘হাজার বছরের বাংলাদেশ: ইতিহাসের পাঠবৈচিত্র্য’ সহ আগের দুটো বই পাঠকদের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হলাম। আমার জন্য আরও আনন্দের একটা কারণ এই যে, আমার আম্মা এই প্রথমবারের মতো প্রবাসে স্বাধীনতার দিনে এমন একটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরেছেন। ছবিতে তারই কিছু নমুনা।
ক্যালগেরি, কানাডা